ঢাকা: দেশের বিমা খাতকে ব্যবসায়িক ভাবে সফল রাখতে আসছে (২০১৬-১৭ অর্থবছর) বাজেটে বিমা কমিশনের ওপর ৫ শতাংশ এবং এজেন্ট কমিশনের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ উৎসকর মুক্ত রাখার সুবিধা চায় বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশেন (বিআইএ)।
এ কারণে বিমা কোম্পানির এজেন্ট এবং দেশের বিমা খাত ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান শেখ করির হোসেন।
বাকি প্রস্তাবনাগুলো হচ্ছে- জীবন বিমা কোম্পানির ডিপোজিট হোল্ডারের ওপর অর্পিত ৫ শতাংশ গেইন ট্যাক্স রয়েছে তা কমানো। জীবন বিমা কোম্পানির আয়করের হার ১৫ শতাংশ রাখা।
বিমা কোম্পানি কর দাতার ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত শেয়ার লেনদেন হতে অর্জিত আয়ের ওপর ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স ১০শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ এবং কোম্পানি উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার লেনদেন হতে অর্জিত আয়ের ওপর ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৩ শতাংশ রাখার সুপারিশ করবে।
এছাড়াও জীবন বিমা ব্যবসায় নিয়োজিত এজেন্ট-এমপ্লইয়ার অব এজেন্টের নতুন লাইসেন্স নবায়ন ও নবায়নযোগ্য সনদপত্রের হার (৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত) অনেক গুণ বাড়ানো হয়েছে। যা অস্বাভাবিক। তাই জীবন বীমা ব্যবসা প্রসারের স্বার্থে এজেন্ট-এমপ্লইয়ার অব এজেন্টদের সার্টিফিকেট-সনদপত্র ইত্যাদির বর্তমান ফি’র পরিবর্তে আগের তুলানায় ৫০ শতাংশ বাড়ানো প্রস্তাবের পাশাপাশি Marine Hull Insurance এর ওপর নির্ধারিত হারে (প্রতি হাজার টাকার Sum insured এর ওপর ১ শতাংশ টাকা হারে) Stamp Duty দেয়ার বিধান বলবৎ রয়েছে। তা বাদ দিয়ে Marine Hall Insurance এর ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটির হার অন্যান্য দেশের মতো Lump sum basis এ করা দাবি জানোনো হবে।
এরই মধ্যে বিমা অ্যাসোসিয়েশন তাদের এই প্রস্তাবনা ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইকে দিয়েছে। এরপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং অর্থমন্ত্রণালয়কে দেবে বলে জানিয়েছেন শেখ করির হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৬
পিসি