ঢাকা: আগামী অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
জুলাই থেকে বাস্তবায়ন হবে নতুন মূসক আইন।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৩৭তম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ভ্যাটের বিবর্তন হচ্ছে। ডিফারেন্সিয়াল ভ্যাট হতে পারে, আপত্তি নেই। তবে ১৫ শতাংশ কিছুদিন রাখি, এরপর একস্তর করে দেওয়া হবে।
ভ্যাট ১ থেকে ২০ শতাংশ হতে পারে, তবে এবার ১৫ শতাংশ রাখা হবে উল্লেখ করে ব্যবসায়ীদের এক্ষেত্রে সহযোগিতার অনুরোধ জানান অর্থমন্ত্রী।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে এবার বাজেটে মুখ রক্ষার মতো কিছু বরাদ্দ দিতে পারবো।
জ্বালানি বিষয়ে ব্যবসায়ীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, পরিবহন ও জ্বালানি খাত বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে। ২০১৮ সাল নাগাদ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।
আগামী বাজেটে আয়কর ও ভ্যাটের বোঝা বাড়বে কিনা এফবিসিসিআই’র সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমদের এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এবার বড় বাজেট দেওয়া হচ্ছে। এতে করের আওতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, এবার বাজেটকে সামনে রেখে এনবিআর ওপেন ডোর পলিসি গ্রহণ করেছে। এবারই প্রথম ৫ শতাধিক অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাজেটে অভ্যন্তরীণ সম্পদের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন দিক বিবেচনা করা হবে। কিন্তু রাজস্ব প্রদানের ক্ষেত্রে তাদের অংশ নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৬/ আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা
আরইউ/জেডএস