ঢাকা: জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ অর্থবছরে বাজেটের আকার তিন লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা।
গত অর্থবছরে (২০১৪-১৫) বাজেটের আকার ছিল দুই লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (০২ জুন) বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে তিনি বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন। এ নিয়ে দশমবারের মতো জাতীয় সংসদে বাজেট উত্থাপন করলেন তিনি।
এ অর্থবছরে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। এরমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত কর ব্যবস্থা থেকে আদায় করা হবে দুই লাখ তিন হাজার ১৫২ কোটি টাকা।
এনবিআর বহির্ভূত কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাত হাজার ২৫০ কোটি টাকা। এ ছাড়া সরকারের বিভিন্ন সেবা ফি বা করবহির্ভূত উৎস থেকে আয় করা হবে ৩২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা।
গত অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই লাখ ৮ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআর’র মাধ্যমে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা।
এনবিআর-বহির্ভূত সূত্র থেকে কর রাজস্ব প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা। এছাড়া কর-বহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ২৬ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা।
এর আগে বিকেল তিনটার দিকে অর্থমন্ত্রী প্রথা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংসদ অধিবেশন কক্ষে যান। সংসদে উপস্থাপনের আগে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে এবারের প্রস্তাবিত বাজেট। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদের কেবিনেট কক্ষে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে বাজেট অনুমোদন করা হয়।
বৃহস্পতিবার ২০১৫-১৬ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ও ২০১৬ সালের অর্থবিলও উপস্থাপন করা হয়। প্রস্তাবিত এ বাজেট সংসদে আলোচনার পর ৩০ জুন পাস হবে।
সংসদে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের ওপর আলোচনা হবে ৬ জুন এবং পাস হবে ৭ জুন। নতুন অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হবে ৯ জুন এবং শেষ হবে ২৮ জুন। অর্থ বিল পাসের মাধ্যমে ১ জুলাই থেকে নতুন বাজেট বাস্তবায়ন শুরু হবে।
নতুন অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনার জন্য নির্ধারিণ করা হয়েছে ৪৫ ঘণ্টা। সংসদ সদস্যরা প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৬
এসই/এসএইচ