ঢাকা: বৈদেশিক সাহায্য ব্যবহার, এডিপির বাস্তাবায়ন ও কর আহরণের ক্ষেত্রে সমস্যা রয়ে গেছে বলে তাৎক্ষণিক বাজেট পর্যালোচনায় জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
জাতীয় বাজেটের আর্থিক কাঠামোর ক্ষয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) প্রসঙ্গ তুলে ধরে ড. দেবপ্রিয় বলেন, এডিপি নিয়ে নতুন কোনো ধরনের অগ্রগতি লক্ষ্য করছি না। মেগা প্রকল্পগুলো আগের মতো অবস্থায় রয়েছে। এডিপির তহবিল গতবারের তুলনায় ২২ শতাংশ বেশি। এটা ব্যবহার করতে হলে যে নীতির পরিবর্তন দরকার, যে অবকাঠামো দরকার তা নেই।
শুক্রবার (০৩ জুন) সকালে রাজধানীর গুলশানে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট প্রসঙ্গে মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা তুলে ধরতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সিপিডি। সংস্থাটির পক্ষে মূল্যায়ন তুলে ধরেন ড. দেবপ্রিয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এডিপির অনেক প্রকল্প রয়েছে যার ৫০ শতাংশই সম্পন্ন হয়নি, যে প্রকল্পগুলো শেষ হবে বলা হচ্ছে সেগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। ১৮টি প্রকল্পে মাত্র ১ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, ২০টিতে মাত্র ১ কোটি টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে পদ্মাসেতু ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়া অন্যগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থায়ন করা হয়নি।
তিনি বলেন, আর্থিক যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এটার ভেতরে করের হারে পরিবর্তন হচ্ছে না, কাঠামোতে এক ধরনের স্থিতিশীলতা আসছে। করের আহরণের পদ্ধতিগুলোতে এখন জোর দিতে হবে। কী পদ্ধতিতে কর আহরণ করা যায়, মানুষের কাছে কীভাবে পৌঁছানো যায় সেটাতে জোর দিতে হবে বলেও জানান ড. দেবপ্রিয়।
ভর্তুকির ক্ষেত্রে একটা একটা জাতীয় নীতিমালার দাবি করেন সিপিডির এই বিশেষ ফেলো।
** বাজেট পর্যালোচনায় সিপিডির ব্রিফিং
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৬
এমজেএফ