ঢাকা: আসন্ন ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ঘোষিত বাজেটের সফল ও গুণগত বাস্তবায়নে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, অঙ্গীকার ও জবাবদিহিতামূলক মনোভাবের প্রয়োজন বলে মনে করে সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র)।
শনিবার (১১ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সম্প্রসারিত মিলনায়তনে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করা হয়।
সুপ্র’র চেয়ারপার্সন আহমেদ স্বপন মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুর রহমান। সম্মেলনপত্র পাঠ করেন সংগঠনের জাতীয় পরিষদ সদস্য এম এ কাদের ও মঞ্জু রাণী প্রমাণিক।
বক্তারা বলেন, ‘বাজেটের পূর্ণ ও সঠিক বাস্তবায়নই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের কৌশল নির্ধারণ করা জরুরি। বাজেট বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় অর্থের যাগান দিতে রাজস্ব আদায় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা যেমন জরুরি, তেমনি দুর্নীতি হ্রাস, কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ অত্যাবশ্যক। বাজেট বাস্তবায়নের জন্য উন্নয়ন প্রশাসনকে গতিশীল এবং স্থানীয় সরকার কাঠামোকে শক্তিশালী করাসহ সকল পর্যায়ে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পৃক্ত করতে হবে। কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে জেলা বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে’।
‘দারিদ্র্য বিমোচন এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পপনা মেয়াদে ঘোষিত গড় প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ কিভাবে অর্জিত হবে- সে বিষয়ে সুষ্পষ্ট দিক-নির্দেশনা বাজেটে থাকতে হবে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কৃষি ও গ্রামীণখাত এবং মানবসম্পদ উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে’।
তারা বলেন, ‘২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে রাজস্ব প্রাক্কলন ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) আয় করতে হবে ২ লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকা। এটা যে একেবারেই উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা, এতে কোনো সন্দেহ নেই। বর্তমান অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় এ হার ৩৫.৪ শতাংশ বেশি। কর প্রদানে কিভাবে মানুষকে আরও উৎসাহিত করা যায়, সেদিকে নজর দেওয়া এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে এ ব্যাপারে যুগোপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন’।
সুপ্র’র সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে এবারও একটা মোটা অঙ্কের টাকা (১১.৭ শতাংশ) ব্যয় হবে ঋণের সুদ পরিশোধ খাতে। সুখের বিষয়, এবার শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা মোট বাজেটের ১৫.৬ শতাংশ। স্বাস্থ্যখাতের বরাদ্দেরও উন্নতি হয়েছে। গত বছরের তুলনায় ০.৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫.১ শতাংশ’।
‘তবে এ বছর নিম্নমুখী হয়েছে কৃষিখাতে বরাদ্দ। অর্থাৎ দেশের অন্যতম প্রধান খাত হওয়া সত্ত্বেও কৃষিতে বরাদ্দ না বেড়ে বরং কমেছে। তাই কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে ও পণ্যের নায্যমূল্য নিশ্চিত করতে কৃষি উপকরণে ভর্তুকি আরো বাড়াতে হবে’।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৬
জেপি/এএসআর