শুক্রবার (০২ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ ক্যাবল টিভি দর্শক ফোরামের মহাসচিব শাহাদাৎ হোসেন মুন্নার দেওয়া এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ব্যাংক থেকে নিজের টাকা তুললেও দেড়গুণ কর দিতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত বাজেটে চিকেন ফ্রাই, বার্গারের ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বসানো হয়েছে। এতে ফাস্টফুডের দাম বাড়বে। শিশু খাদ্যের ওপরও বসানো হয়েছে কর। ফলে অভিভাবকরা এই বাজেট নিয়ে সংশয়ে আছেন। এছাড়া স্বর্ণের দাম বেশি হওয়ায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের নারীদের প্রিয় ইমিটেশন জুয়েলারির দাম বাড়বে। এ পণ্যটির সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এছাড়া ভ্যাট হারও বাড়ানো হয়েছে। কম্বল, রেজর, ব্লেড, রঙিন টেলিভিশন, টিভি কার্ড, আসবাবপত্র, সেনিটারি টাওয়াল, শ্যাম্পু, প্রসাধনী সামগ্রী, ডিওড্রেন্টের দাম বাড়ছে। যেখানে বাজেট হবে জনবান্ধব সেখানে এই বাজেট জনবান্ধব নয়। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যে বেড়েছে গ্যাসের দাম। বাজেটে আবার গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
ফোরামের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, বিশাল ব্যয়ের এ নির্বাচনী বাজেটের খরচ মেটাতে অর্থমন্ত্রী কর ও ভ্যাটের যে জাল পেতেছেন, তাতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। একই ধরনের পণ্যে আমদানি শুল্ক কমিয়ে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। কাঙ্ক্ষিত হারে কর্মসংস্থানে বিনিয়োগ বাড়াতে বাজেটে নেই কোন সুস্পষ্ট নির্দেশনা। সব মিলিয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য এ বাজেট আরও চাপ বাড়াবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৭
এসজে/এসআরএস/এমজেএফ