ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

বিদেশ ফেরত শ্রমিকদের কর্মসংস্থানে সহায়তা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২১ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১৮
বিদেশ ফেরত শ্রমিকদের কর্মসংস্থানে সহায়তা বাজেট বক্তব্য দিচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ছবি: পিআইডি

ঢাকা: বিদেশ ফেরত শ্রমিকদের দেশে নতুন করে কর্মসংস্থানে সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বৃহস্পতিবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় তিনি একথা জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী কল্যাণ আইন সংশোধন করে পরিচালনা বোর্ডে দু’জন প্রবাস প্রত্যাগত কর্মীকে অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফলে অভিবাসী কল্যাণ ও অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।

সামনের দিনগুলোতে প্রবাসীর কল্যাণে আমরা আরো যেসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে চাই তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- বিদেশ থেকে প্রত্যাগত শ্রমিকদের তথ্যভাণ্ডার তৈরি ও দেশে তাদের কর্মসংস্থানে সহায়তা প্রদান, যেসব দেশে অভিবাসীর সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি সেসব দেশে শ্রম উইং স্থাপনের মাধ্যমে কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা; বিদেশি ভাষা শিক্ষাদান কার্যক্রম জোরদারকরণ ইত্যাদি।

তিনি বলেন, প্রবাসে কর্মসংস্থান বাড়ানো ও প্রবাসী কল্যাণের জন্য আমরা আরও যেসব কার্যক্রম গ্রহণ করেছি তার মধ্যে আছে- ফিঙ্গারপ্রিন্ট ভিসা প্রক্রিয়াকরণসহ বিভিন্ন অভিবাসন সেবা বিকেন্দ্রায়ন ও সহজীকরণ, প্রি-ডিপার্চার ট্রেনিংয়ের আয়োজন, কতিপয় দেশে বিনা অথবা স্বল্প অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী প্রেরণ, দেশভিত্তিক অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ ও ব্যাপক প্রচার, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে অসুস্থ ও দুর্ঘটনায় আহত কর্মীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান ও প্রবাসী কর্মীদের মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি প্রদান, সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রেরণকারীকে কমার্সিয়ালি ইম্পর্টেন্ট পারসন (সিআইপি) এর মর্যাদা দেওয়া ইত্যাদি।

‘‘এছাড়া সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ইরাকে মোট ১০ লাখ ৭৭ হাজার আনডকুমেন্টেড কর্মী বৈধতা পেয়েছে। অভিবাসন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনয়ন এবং নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা আইনি কাঠামোতেও সংস্কার এনেছি। ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ আইন ২০১৩’, ‘প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান নীতি ২০১৬’ এবং ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১৭’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া বৈধ চ্যানেলে প্রবাস আয় প্রেরণে সহায়তা প্রদানের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককে তফসিলি ব্যাংকে রূপান্তর করা হয়েছে। ’ 

তিনি বলেন, এবছর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান খাতে গতবারের তুলনায় খরচ কমিয়ে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯৫ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে ৬৮৮ কোটি টাকা এর পরিমাণ ছিল।

বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, অভিবাসন ব্যয় হ্রাস এবং অভিবাসন প্রক্রিয়া সহজ ও নিরাপদ করার জন্য আমাদের তৎপরতা অব্যাহত রেখেছি। পূর্ব ইউরোপসহ ৫২টি দেশে শ্রমবাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে গবেষণাসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। বিদ্যমান ৬টি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি ও ৬৪টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের ৪৮টি ট্রেডে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৮
এইচএমএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।