ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বাজেট

বরাদ্দ বেড়েছে দুর্নীতি দমনে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৪ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১৮
বরাদ্দ বেড়েছে দুর্নীতি দমনে প্রতীকী ছবি

ঢাকা: দেশের দুর্নীতি দমনে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবুল মুহিত। আগের অর্থ বছরের বরাদ্দ ৯৪ কোটি ৭৪ লাখ ৬৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে তা ১১৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (০৭ জুন) জাতীয় সংসদে উত্থাপিত বাজেটে এ প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী।  

বাড়তি বরাদ্দের টাকায় দেশব্যাপী সব জেলায় ১৩ সদস্যের ‘জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি’ ও সব উপজেলায় ৯ সদস্য বিশিষ্ট ‘উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি’ পুনর্গঠন সংক্রান্ত কার্যক্রম ও ‘ইউনিয়ন দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি’ গঠন ও কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জনসচেতনতা তৈরিতে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়, ছাত্রাবাসে দুর্নীতি প্রতিরোধে ‘সততা সংঘ’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রতিটি মহানগরেও গঠন করা হবে ‘নগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি’।

এছাড়াও নোয়াখালী ও হবিগঞ্জে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ও রাঙ্গামাটি, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহে নিজস্ব নতুন ভবন কার হবে।

অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তব্যে বলেন, দেশকে ক্রমান্বয়ে সব ধরনের দুর্নীতি থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে আমরা আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। দুর্নীতি দমন কমিশনের স্বাভাবিক আইনগত কার্যক্রম চলমান রাখার পাশাপাশি গণসচেতনতা সৃষ্টি এবং দুর্নীতি বিরোধী মনোভাবসম্পন্ন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর মাধ্যমে জবাবদিহিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, সমাজের সৎ ও স্বচ্ছ ব্যক্তিদের নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ক্রিয়াশীল দুর্নীতি দমন কমিটিগুলো বিভিন্ন ধরনের প্রচারণামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব গড়ে তোলার লক্ষ্যে সারাদেশের প্রত্যন্ত এলাকার স্কুল ও মাদ্রাসাসহ সব উপজেলার ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ‘সততা সংঘ’ গঠন করে শুদ্ধাচার চর্চার প্রসার ঘটানো হচ্ছে।

দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রমে দেশের সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে আমরা গণশুনানি শুরু করেছি। ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা অফিসের কর্মকর্তা, বিশেষ করে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গেও সরাসরি সংযোগ স্থাপন করা হচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিশনে হটলাইন (১০৬) চালু করা হয়েছে যার মাধ্যমে জনসাধারণ সরাসরি বিভিন্ন অভিযোগ করতে পারছেন বলেও জানান তিনি।

মুহিত বলেন, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের প্রধান উপায় হচ্ছে বিভিন্ন সিদ্ধান্তে ব্যক্তির বিবেচনার ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনা। তাই যেখানেই সুযোগ আছে সেখানেই তথ্যপ্রযুক্তির (ICT) ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, নানারকম আর্থিক লেনদেনে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার দুর্নীতি ব্যাপকতাকে প্রতিরোধের সুযোগ করে দেয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন এগিনেস্ট করাপশন (ইউএনসিএসি) এর রাষ্ট্রপক্ষ (State Party)  হিসেবে আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে দৃঢ়তার সঙ্গে দুর্নীতি বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করছে। এর ফলে দুর্নীতি বা অর্থ পাচার সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্র হতে মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্স রিকয়েস্টের (এমএলএআর) মাধ্যমে বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির অর্থপাচার সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৮
আরএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।