ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

বাজেটের প্রভাব পড়েনি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৬ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১৮
বাজেটের প্রভাব পড়েনি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে বাজেটের প্রভাব পড়েনি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে-ছবি-জি এম মুজিবুর

ঢাকা: জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার (৭ জুন) ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের প্রস্তাব রেখেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রতিবার বাজেট প্রস্তাবনার পর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম হু হু করে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এবার তার বিপরীত পরিস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

শুক্রবার (৮ জুন) বাজেট প্রস্তাবের পরের দিন কারওয়ান বাজার ও ফার্মগেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অপরিবর্তিত রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার।   

খুচরা ব্যবসায়ীদের মতে, বাজেটের প্রভাব পড়ে আড়তদার কিংবা পাইকারি ডিলারদের মাধ্যমে।

দাম শুরুতে তারাই বাড়ায়। তারা না বাড়ালে বা খুচরা বাজারে বা দোকানে কিংবা কারওয়ান বাজারের মতো পাইকারি বাজারেও দাম বাড়ে না।  

কারওয়ান বাজারের মুদি দোকানদার সরফরাজ জানান, বাজেট কবে হইছে তা জানি না। তবে বাজারে পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে রমজানের শুরু থেকে। তবে সম্প্রতি সব রকম ডালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা কমেছে। বাজেটে দাম বাড়ার কোনো খবর নেই। আমাদের কাছে এখনও আসেনি। আর দাম বাড়লে তা যোগ হবে নতুন চালানের সঙ্গে। পুরান মালের দাম আগের দামেই বিক্রি হয়।

এদিকে বাজেটের কারণে নয়, অনির্দিষ্ট কারণে চিনির দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন রফিক উদ্দিন নামের আরেক ব্যবসায়ী। বাংলানিউজকে তিনি জানান, বাজেট হওয়ার আগ থেকেই অর্থাৎ রমজানের শুরু থেকেই চিনির দাম একটু একটু করে বাড়ছে। বৃহস্পতিবার (৭ জুন) ৫০ কেজি চিনির বস্তায় ৬০ টাকা বেড়েছে। আগে বস্তা ছিলো ২ হাজার ৬শ’ টাকা আর এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৬০ টাকায়।  

মাছ-মাংসের বাজারদর একই থাকলেও প্রসাধনী সামগ্রীর দাম অনির্দিষ্ট হারে বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় শিপন স্টোর নামে একটি দোকান থেকে বডিস্প্রে কিনছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাকেরুজ্জামান। কিন্তু ২৫০ টাকার বডি স্প্রে ৩শ’ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায় বিক্রেতাকে। সাকেরুজ্জামান জানান, বাজেটে দাম বেড়েছে বুঝলাম। কিন্তু এই পণ্যগুলো তো বাজেটের আগেই এই দোকানে আগের দামে ঢুকেছে। আর বাজেটে কেবল তা প্রস্তাব করা হয়েছে, বাস্তবায়ন তো হয়নি এখনও। তাহলে কোন যুক্তিতে তারা দাম বাড়াচ্ছে। প্রস্তাব শুনেই দাম বাড়ানো তো প্রতারণার সামিল।

এই প্রশ্ন ওই বিক্রেতাকে করা হলে তিনি উত্তর দিতে রাজি হননি। শুধু বলেন, আমরা এই দোকানের কর্মচারী। মালিক যেভাবে বলে আমরা সেভাবেই সব বিক্রি করি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১৮
এমএএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।