ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বাজেট

জলবায়ু মোকাবিলায় বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৩ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৯
জলবায়ু মোকাবিলায় বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ

ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় জাতীয় বাজেটে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে প্রতি বছর পাঁচ শতাংশ হারে জলবায়ু বাজেটের বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘জাতীয় বাজেট ২০১৯-২০: জলবায়ু রেজিলিয়েন্স অর্জনের পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ সুপারিশের কথা জানানো হয়।

সভাটি অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ ও ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয়।

সভায় অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, একটি সরকারের নীতিমালা হলো- বাজেট। এটি বাস্তবায়নে দক্ষতা বৃদ্ধি না হলে কাঙ্ক্ষিত বাস্তবতায়ন সম্ভব নয়। এজন্য এটি বাস্তবায়নে রাজনৈতিক অঙ্গীকারসহ জবাবদিহিতা থাকতে হবে। বাজেট তৈরির প্রক্রিয়ায় নাগরিক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশ নেওয়ার সেরকম সুযোগ থাকে না। তাদের জন্য সুযোগ তৈরি করা উচিৎ। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিনিয়োগ এখনো নয় শতাংশের নিচে। এছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলায়ও বরাদ্দ অনেক কম। বাংলাদেশের মতো দুর্যোগ প্রবণ দেশে এই বরাদ্দ যথেষ্ট নয়। এই স্বল্প বিনিয়োগ ও বরাদ্দ দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব কিনা তা নিয়ে ভাবতে হবে।

ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের পরিচালক ড. সলিমুল হক বলেন, বাংলাদেশ সরকার দুই বছর ধরে জলবায়ু বাজেট করছে। বরাদ্দের পর সে অর্থের ব্যবহার সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তাও দেখতে হবে। আমাদের বাজেটে অবকাঠামোতে বরাদ্দ অনেক বেশি। কিন্তু দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় কম। তাই এ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি সঠিকভাবে এর ব্যবহারও নিশ্চিত করতে হবে।

আলোচনা সভায় অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো- বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের কৌশল ও কর্মপরিকল্পনার পুনর্বিবেচনাকে স্বাগত জানিয়ে নতুন পরিকল্পনা ও চাহিদা অনুযায়ী ভবিষ্যতের জন্য ব্যয় নির্ধারণ করা, জলবায়ুতে বরাদ্দের পরিমান বাড়ানোর পাশাপাশি খরচের গুণগতমানের ওপর নজর দেওয়া (বিশেষ করে যাতে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারী, শিশু, আদিবাসী ও প্রতিবন্ধীরা সব থেকে বেশি গুরুত্ব পায়), পরবর্তী জলবায়ু বাজেটে স্থানীয় পর্যায়ে কি পরিমান বরাদ্দ দেওয়া হয় তা পরিমাপ করা, স্থায়ী উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও সরকারের জলবায়ু সংক্রান্ত অন্যান্য নীতি, পরিকল্পনা এবং কৌশলের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জলবায়ু বাজেট প্রতিবেদন খরচের একটি নির্দিষ্ট মানদণ্ড নির্ধারণ করা।

এছাড়া জলবায়ু বাজেট প্রতিবেদনের প্রযুক্তিগত দিকগুলো উন্নত করার জন্য মুদ্রাস্ফীতির সঠিক হিসাব রাখতে ‘রিয়েল’ ও ‘নমিনাল’ উভয়ভাবেই তা পরিমাপ করতে হবে। পাশাপাশি অতীত ও ভবিষৎ পরিকল্পিত ব্যয়েরও হিসাব রাখতে হবে।

ফারাহ কবিরের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ বাংলাদেশের সমন্বয়ক মিজানুর রহমান বিজয় ও ব্র্যাকের ইমার্জেন্সি প্রিপায়েরডনেস অ্যান্ড রেসপন্স প্রোগ্রামের প্রধান শশাঙ্ক সাদী প্রমুখ। এছাড়া মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার সৈয়দা লামিয়া হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৯
জিসিজি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।