ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

স্মার্টফোনের দাম ও মোবাইল ব্যবহারে খরচ বাড়ছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫২ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৯
স্মার্টফোনের দাম ও মোবাইল ব্যবহারে খরচ বাড়ছে

ঢাকা: জাতীয় বাজেটে স্মার্টফোন আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এছাড়া মোবাইল ফোনের সিম বা রিমের ব্যবহারেও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।

এর ফলে স্মার্টফোনের দাম বাড়ছে বাজারে এবং মোবাইল ফোন ব্যবহারে খরচ বাড়বে গ্রাহকদের।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে চলতি অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী।

‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শীর্ষক এ বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।

বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, আইসিটি খাতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজনে রেয়াতি সুবিধা দেওয়ার কারণে স্থানীয় পর্যায়ে ৫-৬টি সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এ খাতে বিদ্যমান সুবিধা অব্যাহত রেখে সেলুলার ফোন উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কতিপয় যন্ত্রাংশের আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব করছি।

এছাড়া, আমদানি পর্যায়ে স্মার্টফোন এবং ফিচার ফোনে এখন ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রযোজ্য রয়েছে। ফিচার ফোন দেশের অপেক্ষাকৃত নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী ব্যবহার করে। অপরদিকে স্মার্টফোন দেশের বিত্তবান লোকজন ব্যবহার করে থাকে বিধায় স্মার্টফোনের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, মোবাইল ফোনের সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে প্রদত্ত সেবার বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ১০ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।

এর আগে বিকেল তিনটার দিকে বাজেট পেশের অনুমতি নিয়ে প্রথমে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট বক্তব্য শুরু করেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। এরপর শুরু করেন ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শীর্ষক ১০০ পৃষ্ঠার ২০১৯-২০ সালের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন। কিন্তু অসুস্থ্য থাকায় কিছুক্ষণ পর থেকে বাজেট উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই।

সংসদে উপস্থাপনের আগে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয় প্রস্তাবিত বাজেটটি। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদের ক্যাবিনেট কক্ষে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে বাজেটটি অনুমোদন করা হয়।

এবারের বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। এবারের বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা।  

বাজেটে ঘাটতি দাঁড়াবে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ শতাংশ। ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণ ৬৮ হাজার ১৬ কোটি টাকা, অভ্যন্তরীণ উৎস হতে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে নেওয়া হবে ৩০ হাজার কোটি টাকা।

এবারের বাজেটে বড় আকারের ব্যয় মেটাতে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ১৩ দশমিক ১ শতাংশের সমান।

এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আদায় করবে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, এনবিআর বহির্ভূত কর আদায় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। কর ছাড়া আদায় বা প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৯
এমআইএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।