ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বাজেট

মানবসম্পদ তহবিল গঠনে অর্থমন্ত্রীকে বিসিআইয়ের অভিনন্দন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৮ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৯
মানবসম্পদ তহবিল গঠনে অর্থমন্ত্রীকে বিসিআইয়ের অভিনন্দন

ঢাকা: প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের জন্য ১০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিলের ব্যবস্থা রাখা ও প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়নের জন্য জাতীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিল গঠন করায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ অভিনন্দন জানানো হয়।
 
অভিনন্দন বার্তায় সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধূরী বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ বাস্তবায়িত হতে চলেছে।

মূসক মুক্ত টার্নওভারের সীমা ৫০ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। টার্নওভার করের উর্ধ্বসীমা ৮০ লাখ টাকা হতে বাড়িয়ে ৩ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে, বিপুল সংখ্যক আইটেম মূসকের আওতা মুক্ত রাখা হয়েছে। এজন্য আমরা সরকারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

তবে মূসক ব্যবস্থায় ভোক্তা ও দেশের ৮৫ শতাংশ ক্ষুদ্র-মাঝারি পণ্য ও সেবা খাতে নিয়োজিত ব্যবসায়ীদের স্বার্থ ও সামর্থ্য অনুয়ায়ী একটি ভোক্তা ও ব্যবসাবান্ধব মূসক ব্যবস্থা বলবৎ করার জন্য আমাদের নিম্ন লিখিত প্রস্তাবগুলো পুনরায় বিবেচনার অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রস্তাবগুলো হলো-টার্নওভারের উর্ধ্বসীমা ৫ কোটি নির্ধারণ করে করের হার প্রস্তাবিত ৪ হতে ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা, পণ্য ও সেবাখাতে উপকরণ রেয়াত গ্রহণ করা না গেলে শিল্প ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ ভ্যাট ধার্য্য করা এবং ২০১৮-১৯ বাজেটে বিদ্যমান সব অব্যাহতি খাতকে প্রদত্ত অব্যাহত রাখার জন্য প্রস্তাব করছি।
 
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে করপোরেট এবং ব্যক্তি পর্যায়ের কর হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। দেশের বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও নতুন বিনিযোগ আকৃষ্ট করার জন্য করপোরেট কর হার হ্রাস করা প্রয়োজন। সুষম উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত রাখার জন্য শুধু ঢাকা বা চট্টগ্রাম কেন্দ্রীক না করে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত ও অনুন্নত অঞ্চলে বিনিয়োগ ও শিল্পায়ন উৎসাহিত করে কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য বিশেষ রেয়াতি কর সুবিধা দেওয়ার জন্য পুনরায় অনুরোধ করছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সামনে বেশকিছু বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে ব্যাংকিং খাতের সমস্যা, বিনিয়োগের স্থবিরতা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হওয়া, স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রস্তুতি, বাজেট ঘাটতি। এসব বড় বড় চ্যালেঞ্জের জন্য সুনির্দিষ্ট সংস্কার কর্মস‍ূচি প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৩ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৯
এসএমএকে/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।