ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বাজেট

বাজেট নিয়ে বাকৃবি-জাককানইবি শিক্ষকদের ভাবনা 

এম আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৯
বাজেট নিয়ে বাকৃবি-জাককানইবি শিক্ষকদের ভাবনা  বাংলানিউজ গ্রাফিক্স

ময়মনসিংহ: ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট পেশের একদিন পরও চলছে নানামুখী বিশ্লেষণ। এ বাজেট ঘোষণার পর নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম না বাড়ায় খুশি হয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। তাদের ভাষ্যে, এ বাজেট জনকল্যাণমুখী ও উন্নয়নের। তবে এ বাজেটে তুষ্ট হতে পারেননি অর্থনীতি বিশ্লেষকেরা। 

এমন অবস্থায় বাজেট নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) শিক্ষকেরা বলছেন, উচ্চাভিলাষী এ বাজেট বাস্তবায়নে সক্ষমতা ও দক্ষতা উন্নয়নই গুরুত্বপূর্ণ। এ বাজেটে আয় ও ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

আবার কৃষি ও কৃষকের জন্যও বাজেটে খুব একটা সুখবর নেই।  

শুক্রবার (১৪ জুন) বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই বলেন দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষক।  

বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বাকৃবির কৃষি অর্থনীতি অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক পরেশ চন্দ্র মোদক বলেন, ‘মধ্যবিত্তের জন্য বাজেটে চমক তৈরি করতে পারেননি অর্থমন্ত্রী। তিনি ধনী লোকদের তুষ্ট করেছেন। ’

তিনি বলেন,‘তারা (ধনী) সম্পদের উপর সারচার্জে ছাড় পেয়েছেন। প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে করদাতা বাড়ানো সম্ভব হলে রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে। তবে উচ্চাভিলাষী এ বাজেটে করহার না বাড়ানোর বিষয়টি ইতিবাচক। ’ 

বাজেটে জনগণের প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি- এমন মন্তব্য করে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ব্যবসা ও বিপনণ বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সবুর বলেন, ‘এ বাজেটে আয় ও ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এখানে যে পরিমাণ আয় দেখানো হয়েছে সেই পরিমাণ আয় অর্জন কঠিন। ’ 

তার মতে, বাজেটে শিল্প ও সেবা খাতে ১০ শতাংশ কর দিয়ে টাকা বৈধ করার সুযোগ পাওয়া যাবে। করদাতার সংখ্যা বাড়ানোর কথা বললেও এটি বাস্তবায়ন অনেক কঠিন হবে।  

অবশ্য বাজেটে কৃষি ও কৃষকের জন্য খুব একটা সুখবর নেই বলেই মনে করেন এই দুই অর্থনীতি বিশ্লেষক। তারা বলেছেন, এবারো আগের মতই কৃষিতে বরাদ্দ ও ভর্তুকি বাড়ানো হয়েছে। নিয়ম রক্ষার কারণেই গতবারের তুলনায় প্রস্তাবিত বাজেটে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়লেও এতে কৃষক উপকৃত হবে না, তাদের স্বার্থ রক্ষা করা হবে না।

তবে বাজেট বিভিন্ন দিক নিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাছে এ বাজেট গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। এ বাজেট বাস্তবায়ন হলে প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশের বেশি হবে।  

বাজেটে রাজস্ব আয় বাড়ানোর উদ্যোগ যুগান্তকারী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ বাজেটে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার উপর উৎস কর ৫ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে এ বাজেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ’ 

‘বাজেটে মুদ্রাস্ফীতি কম থাকায় খাদ্যপণ্যের দাম বাড়বে না। বিশেষ করে চালের দাম আগামী একবছরে বাড়ার সম্ভাবনা নেই। বিশাল অংকের এ বাজেট উন্নয়নে সহায়ক,’ যোগ করেন অর্থনীতির এই অধ্যাপক।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৯ 
এমএএএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।