ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

বেকার লোক নেই বলেই ধান কাটার লোক পাওয়া যাচ্ছে না

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৪ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৯
বেকার লোক নেই বলেই ধান কাটার লোক পাওয়া যাচ্ছে না

ঢাকা: দেশে বেকার লোক নেই বলেই কৃষকের ধান কাটার লোক পাওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দেশে এখন ধান কাটার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। ধান কাটার শ্রমিকরা অনেক বেশি টাকা চায়। এতে বোঝা যায় শ্রমমজুরি বেড়ে গেছে। বেকার লোকের অভাব আছে বলেই শ্রমমূল্য বেড়েছে। 

শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অসুস্থ থাকা এবার প্রথমবারের মতো কোনো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন করেন শেখ হাসিনা।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রীর হয়ে বাজেটের বক্তৃতার একাংশ পড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, পরিকল্পনান্ত্রী এমএ মান্নান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, এনবিআর চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ভুঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রস্তাবিত বাজেটে ২০৩০ সালের মধ্যে যে ৩ কোটি কর্মসংস্থানের কথা বলা হয়েছে তা কিভাবে সম্ভব, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কর্মসংস্থান আর চাকরি এক জিনিস নয়। আমরা কর্মসংস্থানের কথা বললেই সবার ধারণা হয় সরকারি চাকরি কথা বলছি। কর্মসংস্থান মানেই সরকারি চাকরি নয়। ১৬ কোটি মানুষকে কি চাকরি দেওয়া যায়? পৃথিবীর কোনো দেশই দেয় না? মানুষ যেন কাজ করে খেতে পারে সেই সুযোগ সৃষ্টি করাই কর্মসংস্থান। ১০০ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রেখেছি, শিক্ষার কথা বলেছি, প্রযুক্তি শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, ভোকেশনাল ট্রেনিং। আমরা চাই মানুষ শিক্ষিত হয়ে ট্রেনিং নিয়ে নিজের কাজ নিজে করার একটা সুযোগ পাক। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আছে বলেই ধান কাটার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। যেহেতু কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে তাই ধান কাটার লোকের অভাব।

‘আমরা ১০০টি অঞ্চল তৈরি করছি। এই প্রকল্প সম্পন্ন হলে কতো মানুষের কাজ হবে, চাকরি হবে। সরকারি চাকরির ওই অংক করলে চলবে না। সরকারি চাকরির হিসাব করলেতো কর্মসংস্থান হলো না। আপনাকে নিজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। ’

ব্যাংকগুলোর সুদের হার ৬ ও ৯ শতাংশ আনার ঘোষণা দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাংক তা বাস্তবায়ন করেনি, এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় চেষ্টা করেছি, যেন সুদটা সিঙ্গেল ডিজিটে থাকে। এ জন্য ব্যাংকগুলোকে সুবিধাও দিয়েছি। কিন্তু অনেক বেসরকারি ব্যাংক সেটা মানেনি। ব্যাংকগুলোকে নিয়ম মেনে চলতে হবে। ঋণের সুদ যেন ডাবল ডিজিটে না হয়। বেশি আর চক্রবৃদ্ধি আকারে সুদ হতে থাকলে মানুষ ব্যবসা করতে পারবে না। এজন্য আমরা অনেকগুলো আইন সংশোধন করবো। এবার বাজেটে নির্দেশনা দেওয়া আছে—এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যাওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে ঘোষিত বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এরমধ্যে এনবিআর সংগ্রহ করবে তিন লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ৬২ দশমিক ২ শতাংশ। বাজেটে অনুদান ছাড়া ঘাটতি ধরা হয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৯
এমআইএস/জিসিসি/এইচএ/

আরও পড়ুন
** ঢাকা-কক্সবাজার রুটে বুলেট ট্রেন চলাচলে সমীক্ষা
** ‘ভালো না লাগা পার্টি’র কিছুই ভালো লাগে না
** অনলাইন নিউজপোর্টাল নিবন্ধনের তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর
** ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ বাস্তবায়নে ৬৬ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা
** ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ কোটি যুবকের কর্মসংস্থান করা হবে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।