ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বাজেট

প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য নয়: জিএম কাদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১২ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২১
প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য নয়: জিএম কাদের

ঢাকা: ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের।

তিনি বলেছেন, চলতি অর্থবছরে যে বাজেট পেশ করা হয়েছে তা কল্পনাপ্রসূত, মনগড়া এবং অবাস্তব।

ধারণার ওপর করা এ বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য নয়। বাজেটে বিশাল ঘাটতি রয়েছে, তা পূরণ করতে যে ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে তা বাস্তবসম্মত নয়। এ বাজেট ব্যাপকভাবে সংশোধন বা রদবদল করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিকেলে বাজেট অধিবেশন থেকে বের হয়ে জাতীয় সংসদের টানেলে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

জিএম কাদের বলেন, স্বাস্থ্যখাতে নামমাত্র বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তাখাতে যা দেওয়া হয়েছে তা বাজেটের তুলনায় অত্যন্ত কম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতে অনেক কম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ধারণার বশবর্তী হয়ে অর্থমন্ত্রী বাজেট তৈরি করেছেন। এ বাজেট এতটাই পরিবর্তন করতে হবে যে, তাতে প্রণীত বাজেটের প্রকৃত রূপ থাকবে না। বাজেটে খরচ বাড়িয়েছেন, বাড়ানো দরকারও আছে কিন্তু অর্থ আহরণের বিষয়ে তারা হোঁচট খেয়েছেন। গেলো বাজেটের লক্ষ্য অনুযায়ী ৬০ শতাংশও রাজস্ব আদায় করতে পারেনি দশ মাসে। সামনের দুই মাসে কতটা আদায় করতে পারবেন তাও জানেন না। যেটা প্রাক্কলন করেছেন তাতে যথেষ্ট পরিমাণে ঘাটতি রয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৬ দশমিক ২ শতাংশ ঘাটতির বাজেট এর আগে আর হয়নি। ঘাটতির এ বাজেটে যত সুন্দরভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে তা ডিটেইলে দেখা গেছে অনেক কিছুই ফাঁক আছে।

তিনি বলেন, যারা করোনাকালে কর্মহীন হয়েছেন এবং দারিদ্রসীমার নিচে চলে গেছেন তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা তাদের জন্য আর্থিক সহায়তার সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা নেই এ বাজেটে। স্বাস্থ্যখাতের জন্য সাধারণ মানুষের বিপুল আকাঙ্ক্ষা ছিলো, এবার স্বাস্থ্যখাতে বড় ধরনের একটা বরাদ্দ হবে এমন আশা ছিলো সাধারণ মানুষের। কিন্তু বাজেটে অত্যন্ত সামান্য বাড়ানো দেখানো হয়েছে। এটা সাধারণভাবে বলা যায়, রুটিনবৃদ্ধি, কোনো ক্রাইসিসের জন্য এ বাড়ানো সামান্য এবং অপ্রতুল।

জিএম কাদের বলেন, বাজেটের ঘাটতি পূরণে বিদেশি ঋণ, স্বল্পসুদে ঋণ এবং বিভিন্ন খাত থেকে অর্থপ্রাপ্তির যে কথা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। আগামী দিনের অর্থনৈতিক যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে তাতে এটা আদৌ অর্জন করা সম্ভব হবে কিনা তা বলা যাচ্ছে না। তাই রাজস্ব প্রাপ্তিতে যেমন বিশাল সমস্যা হতে পারে, তেমনি বাজেট অনুযায়ী অর্থায়নেও সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া যেসব বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে তা মুখে বলেছেন কিন্তু কাগজে মোটেই নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২১
এসএমএকে/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad