ঢাকা: থার্মোমিটারের পারদ বলছে তাপমাত্রা এখন নিচে দিকে। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহের তীব্রতা কমতে শুরু করেছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, ঢাকার তাপমাত্রা আরো কমেছে। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও কমে অতি তীব্র থেকে তীব্রতে নেমে এসেছে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আগের দিন ঈশ্বরদীতে ওঠেছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আগের দিনের চেয়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) আগের নয় বছরের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ঈশ্বদীতে। এর আগে ২০১৪ সালের মে মাসে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রোববার (১৬ এপ্রিল) ৫৮ বছরের মধ্যে ঢাকার তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ, ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সেদিন চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গত শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত দু’দিনে ঢাকার তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি এবং দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে।
ঢাকায় ১৯৬৫ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে ১৯৬০ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠেছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ১৯৭৫ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এই রেকর্ড এখনো ভাঙ্গেনি।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ১৯ এপ্রিল থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মরনসিংহ, সিলেটৈ অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির জানিয়েছেন, ২০ এপ্রিলের পর তাপপ্রবাহ আর কমবে। তবে একেবারে চলে তা নয়। হয়তো মৃদু তাপপ্রবাহ থাকবে। সেসঙ্গে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, ২১, ২২ এপ্রিলের দিকে দেশের বেশিভাগ স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। ২৩ এপ্রিলে থেকে দেশেই বৃষ্টি এবং কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। তবে সেটা একটানা নয়। গত চার এপ্রিলে থেকে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ ক্রমান্বয়ে বাড়তে শুরু করে। ১৭ এপ্রিল এসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৩
ইইউডি/এএটি