ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’: বরগুনায় কন্ট্রোলরুম চালু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’: বরগুনায় কন্ট্রোলরুম চালু

বরগুনা: ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ পর্যবেক্ষণ ও তথ্য সংগ্রহে কন্ট্রোলরুম চালু করেছে বরগুনা জেলা প্রশাসন। কন্ট্রোলরুমের মোবাইল ফোন নম্বর ০১৭০০৭১৬৭২৫।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সুবর্ণজয়ন্তী সম্মেলন কক্ষে হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মোখা আগামী দুই-একদিনের মধ্যে বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পরতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

দুর্যোগ মোকাবিলায় বরগুনা জেলায় ২৯৪ মেট্রিকটন খাদ্যশস্য মজুদ রাখা হয়েছে। দুর্যোগ পরবর্তী জরুরি ত্রাণ বাবদ আট লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ১৪২ বান্ডল ঢেউটিন ও গৃহনির্মাণ ব্যয় বাবদ চার লাখ ২৬ হাজার টাকা, দুই হাজার কম্বল ও দুই হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার মজুদ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় বরগুনায় মোট ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৮৫টি, আমতলীতে ১১১টি, তালতলীতে ৫৩টি, পাথরঘাটায় ১২৪টি, বেতাগীতে ১১৪টি এবং বামনায় ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে মোট দুই লাখ ৬৯ হাজার ৫১০ জন আশ্রয় নিতে পারবেন। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

২০২০ সালের ২০ মে সুপার সাইক্লোন আম্পানের আঘাতে বরগুনার পাথরঘাটা এবং তালতলী উপজেলার সব ইউনিয়ন, বেতাগী উপজেলার এক তৃতীয় অংশ ও সদর উপজেলার বদরখালী, সাত নম্বর ঢলুয়া, আয়লা পতাকাটা ও ফুলঝুড়ি ইউনিয়নে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলায় বরগুনা জেলায় বেড়িবাঁধের বাইরে ও চরাঞ্চলের এলাকাগুলো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এছাড়া ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডরে জেলার প্রায় দুই শতাধিক মানুষ মারা যান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।