খুলনা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার গতি বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের উপকূলের সঙ্গে এর দূরত্ব কমছে।
শনিবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় এ ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব পড়তে শুরু করবে কক্সবাজার ও এর কাছাকাছি উপকূলীয় এলাকায়। আবহাওয়া অফিসের এমন বার্তার মধ্যে খুলনার আকাশে চলছে মেঘ-রোদের খেলা।
তবে শনিবার ভোরে কয়েক ঘণ্টা গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করে। ভ্যাপসা গরমে জনজীবন ওষ্ঠাগত প্রায়। তখন আকাশে মেঘের আনাগোনা ছিল। সকাল ৯টার পর সূর্য উঁকি মারে আকাশে।
ঘূর্ণিঝড় মোখা ঘিরে আতঙ্ক বিরাজ করছে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে। বিশেষ করে যেসব এলাকার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ সেসব এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বেশি। খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তর মহেশ্বরীপুর, গাতিরঘেরি ও কাটকাটা এলাকায় বাঁধ ধসে যাওয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে মানুষ। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে নদীতে পানি বাড়লে ওই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করছেন তারা।
তবে দুর্যোগপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়াসহ ঝড়ের আগে, দুর্যোগের সময় এবং দুর্যোগ পরবর্তী প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, উপকূলীয় জেলা খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় মোট ১ হাজার ৪৪২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। যার ৮৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ২৫ কিলোমিটার অতিঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।
৬ নম্বর উত্তর বেদকাশীর পাথরখালির পলাশ সরকার বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় সমস্যা শাকবাড়িয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভাঙন। বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রতিবছরই আমরা ডুবে যাই। আর ঝড়ের খবরে আমরা আতকে উঠি। এমন কোনো ঝড় নেই যে ঝড়ে আমরা না ডুবেছি। ঘূর্ণিঝড় মোখা আসার খবরে আমাদের ঘুম চলে গেছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, এখন পর্যন্ত খুলনায় ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব শুরু হয়নি। আজ রাত অথবা আগামীকাল সকাল থেকে শুরু হতে পারে। খুলনায় ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
এমআরএম/আরবি