ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

বাসযোগ্য ঢাকা গড়তে সবুজ আন্দোলনের ১০ দফা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩২ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২৩
বাসযোগ্য ঢাকা গড়তে সবুজ আন্দোলনের ১০ দফা 

ঢাকা: দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বাসযোগ্য ঢাকা গড়ার দাবি জানিয়ে আসছে সাধারণ জনগণ। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে পরিকল্পিত নগরায়ন সম্ভব হয়নি।

ঢাকাকে বাঁচাতে দুই সিটির প্রতিটি ওয়ার্ডে দুটি করে পুকুর কিংবা জলাশয় খননের পাশাপাশি পুরাতন পুকুরগুলোকে সংস্কার করাসহ দশ দফা দাবি জানিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলন।  

সোমবার (৫ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বাসযোগ্য ঢাকা গড়ার দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলনের পক্ষ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।  

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার। তিনি বলেন, বাসযোগ্য ঢাকা গড়ার নির্বাচনী ইশতেহার দিয়ে ক্ষমতায় রয়েছেন বর্তমান দুই মেয়র। কয়েক বছর অতিবাহিত হলেও বাসযোগ্য নগর রয়েছে অধরা। আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানে বসবাসযোগ্য নগরী হিসেবে ঢাকা রয়েছে তলানিতে। ঢাকার পরিবেশকে বাঁচাতে হলে আমাদের এই দশ দফা দাবি এখনই বাস্তবায়ন করা জরুরি হয়ে পড়েছে।  

সবুজ আন্দোলনের পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবিগুলো হলো- 


(১) চলতি বর্ষা মৌসুমে ঢাকা শহরের চারপাশের ওয়াকওয়ের পাশ জুড়ে, সরকারি সকল পতিত জায়গা, রেললাইনের পাশে, আবাসন প্রকল্পে ২৫ ভাগ ও প্রত্যেকের বাসা বাড়ির ছাদে সবুজায়ন নিশ্চিত করতে হবে।  

(২) বায়ু ও শব্দ দূষণ বন্ধে কর্মপদ্ধতি প্রণয়ন, নির্মাণাধীন সকল প্রকল্পে দূষণের জন্য ঠিকাদার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে জরিমানা এবং জবাবদিহিতার মধ্যে আনার পাশাপাশি সপ্তাহে দুইবার রাস্তা পানি দিয়ে ধোয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।  

(৩) প্লাস্টিক পণ্যের উৎপাদন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন এবং পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধিতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।  

(৪) নতুন করে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন উত্তর ও দক্ষিণের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে দুটি করে পুকুর কিংবা জলাশয় খননের পাশাপাশি পুরাতন পুকুরগুলোকে সংস্কার করতে হবে।  

(৫) ঢাকার চারপাশের নদীর ব্যবহার বাড়াতে নদীর খনন, নদীর পাড়জুড়ে স্টেশন নির্মাণ করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নৌযান চলাচলের উপযোগী করতে হবে।  

(৬) ঢাকার মধ্যে অবস্থিত সব কেমিক্যাল ও গার্মেন্টসের কারখানা স্থানান্তর করে শহরের পার্শ্ববর্তী জেলাতে স্থাপন করতে হবে।  

(৭) ঢাকা শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন করতে ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলাতে বর্জ্য রাখার জায়গা অধিগ্রহণ, মেডিকেল বর্জ্য ও কাচের পণ্যের বর্জ্য আলাদা করতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।  

(৮) ঢাকা শহরের মধ্যে অবস্থিত খালকে পুনরুদ্ধার করে সীমানা পিলার নির্ধারণ, ওয়াকওয়ে নির্মাণ ও জলজ প্রাণীর প্রজনন বাড়াতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

(৯) ঢাকা শহরের অবশিষ্ট গাছ কাটা বন্ধ করা, নদীর পানি দূষণ বন্ধে বাইপাস ক্যানেল পদ্ধতি গ্রহণ, পরিবহনের চাপ কমানো।  

(১০) বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়সহ পরিবেশ রক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে পরিবেশ নিয়ে কাজ করে সংগঠন, গবেষক ও গণমাধ্যম কর্মীদের সমন্বয়ে এসটেক হোল্ডার বডি তৈরি করার পাশাপাশি পরিবেশ খাতের সঙ্গে দুর্নীতিতে জড়িতদের জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে।

সমাবেশের সঞ্চালনা করেন সবুজ আন্দোলনের পরিচালনা পরিষদের পরিচালক উদয় খান।  

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সবুজ আন্দোলন পরিচালনা পরিষদের মহাসচিব মহসিন সিকদার পাভেল, অর্থ পরিচালক নিলুফার ইয়াসমিন রূপা, পরিচালক অধ্যক্ষ নাদিয়া নূর তনু, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের অর্থ সম্পাদক আলমগীর হোসেন পলাশ, সহ অর্থ সম্পাদক সালমা আক্তার শান্তা, সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম চৌধুরী অর্ণব, নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক সাহিন আরা সুলতানা, সহ দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আজিজ ও ছাত্র পরিষদের সভাপতি মো. সোহাগ খান।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২৩
ইএসএস/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।