ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

ঢাকায় শান্তির বাতাস, দমকা হাওয়া-বজ্রপাতের পূর্বাভাস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২৩
ঢাকায় শান্তির বাতাস, দমকা হাওয়া-বজ্রপাতের পূর্বাভাস ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: অবশেষে ঢাকায় বইতে শুরু করেছে শান্তির বাতাস। জনজীবনে নেমে এসেছে স্বস্তি।

 পূর্বাভাস রয়েছে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের।

বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) বিকেলে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিন সকাল থেকেই আকাশ ছিল আংশিক মেঘলা, সঙ্গে ছিল গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। তবে ভ্যাপসা গরমে দুপুর পর্যন্ত কাহিল হয়ে পড়েছিল রাজধানীবাসী। এই অবস্থা কাটতে থাকে দুপুর ২টার পর থেকেই। তিনটার দিকে বাড়তে থাকে বাতাসের পরিমাণ। হিম হিম বাতাসে ভ্যাপসা গরম কেটে যায় চারটার দিকে।

এ সময় আকাশ ঢেকে যায় ঘনকালো মেঘে। এতে সড়কে গাড়িগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা যায়। তবে বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টিপাত তেমন নেই। অনেককেই বলতে শোনা যায়, অবশেষে স্বস্তি নামল।

কাজী জেবেল নামের এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, নর্দা থেকে আসছিলাম, ভ্যাপসা গরমে ভিজে অস্থির অবস্থার সৃষ্টি হয়। বনানীর আসার পর ঠাণ্ডা বাতাসটা ছাড়ল। তখন মনে হলো শান্তি নামল।

প্রাইভেট কারের চালক আব্দুর রহিম বলেন, শান্তি নামায় দিসে আল্লাহ। গরমে বাইরে-ভিতরে কোনোখানেই টেকা যাইতেছিল না।

আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক বলেন, চলতি মাসে আজকের আগে ঢাকায় কোনো বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়নি। আর তাপমাত্রাও ছিল বেশি। ফলে ঢাকার জনজীবনও অস্বস্তিতে পড়েছিল। বর্তমানে দমকা বাতাস বইছে। আর আকাশ ঘনকালো মেঘে ঢেকে গেলেও কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা কম। এক্ষেত্রে বৃষ্টিপাত কিছুটা বাড়তে পারে। হালকা থেকে মাঝারী ধরণের বৃষ্টিপাত হতে পারে। দু’দিন পর এই অবস্থা কেটে গিয়ে ফের বাড়তে পারে সেই খরতাপ। সেই অবস্থার আবার চার থেকে-পাঁচদিন স্থায়ী হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ খো: হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, শুক্রবার (০৯ জুন) সকাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সিলেট জেলাসহ ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ৮-১২ কিলোমিটার।

অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ০১ নম্বর (পুনঃ) ০১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। ফলে উপকূলে ঝড়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। এজন্য মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০২৩
ইইউডি/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।