বরগুনা: সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, প্রকৃতি আমাদের বেঁচে থাকার জন্য জরুরি। কিন্তু আমরা এ প্রকৃতিকে ধ্বংস করে নিজেদের বিপদ ডেকে আনছি।
বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে বরগুনার তালতলী সওদাগরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে ‘পরিবেশ: কৃষক ও মৎস্যজীবীর জীবন জীবিকা’ শীর্ষক নাগরিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, সওদাগরপাড়া আদর্শ সবজি চাষি সমিতি ও জাতীয় নদী জোট আয়োজিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, সরকারকে বুঝতে হবে, কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের নেতিবাচক অভিঘাত তুলে ধরাকে উন্নয়ন বিরোধিতা বলে না। বরং জনগণ ও সরকারের দূরত্ব কমাতে এ বক্তব্য আরও মনোযোগ দিয়ে শোনা উচিত।
সভায় ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিত কলকারখানা গড়ে ওঠায় তালতলীর ফসলের মাঠে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। নদী ও সাগর থেকে ইলিশ হারিয়ে যাচ্ছে। জেলে সম্প্রদায়সহ অনেকেই পেশা হারাচ্ছে। মৎস্য ও কৃষি সম্পদ রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার তুম্পা বলেন, ক্ষতিকর জাল ব্যবহার করে মাছ ধরা যাবে না। আমরা স্লুইস গেট করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেব। জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
নাগরিক সভায় আরও বক্তব্য দেন পরিবেশকর্মী মারুফ রায়হান তপু, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নজরুল ইসলাম লিটু ও সিদ্দিকুর রহমান, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের বরগুনা জেলা শাখার সমন্বয়ক মুশফিক আরিফ ও তালতলী উপজেলা শাখার সমন্বয়ক আরিফুর রহমান, সওদাগর পাড়া আদর্শ সবজি চাষি সমিতির সভাপতি শাহাদাত হোসেন, তালতলী ব্লাড ডোনার ফাউন্ডেশনের সভাপতি ইমরান তাহের, মৎস্যজীবী শাহজাহান শেখ, কৃষক মো. রাসেল, আদিবাসী নেত্রী মায়েমেন রাখাইনসহ অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২৩
টিএ/এসআই