পঞ্চগড়: হিমালয়ের হিমশহর পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে আরও দুইদিন তীব্র থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে এ জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও ঘনকুয়াশার সঙ্গে অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। এতে করে জেলার সর্বসাধারণের পাশাপাশি চরম বিপাকে পড়েছে এ জেলার নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষেরা।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। যা আজও সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এদিন বেলা বাড়লে দেখা মিলেনি সূর্যের। এর আগে গতকাল (শুক্রবার) চলতি শীত মৌসুমের ও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
এদিকে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কনকনে ঠান্ডা বাতাস অব্যাহত থাকায় অনেকেই ঘর থেকে বের হয়নি। তবে প্রয়োজনে কিছু সংখ্যক মানুষকে বাইরে বের হতে দেখা গেছে। একইসঙ্গে তীব্র শীতে প্রায় জনশূন্য দেখা গেছে গ্রামগুলোর অবস্থা।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জান রোকন বাংলানিউজকে বলেন, আগামী দুইদিন তাপমাত্রা ওঠানামার মাঝে শীতের তীব্রতা কিছুটা বাড়বে। আজ সকাল ৯টায় রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। যা সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন।
এদিকে খবর নিয়ে জানা গেছে, দিন দিন শীতের তীব্রতা বাড়ায় জেলায় বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। সব থেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ বয়স্করা। অপরদিকে জেলার নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সরকারিভাবে জেলা প্রশাসন সাড়ে ৩৩ হাজার শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করেছে। তবে এ অঞ্চলের জন্য এ পরিমাণ পর্যাপ্ত না হওয়ায় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান স্থানীয়রা।
বাংলাদেশ সময়: ১০১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৪
এসএএইচ