ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

ফরিদপুরে বছরের সর্বোচ্চ ৪১ ডিগ্রি তাপমাত্রার রেকর্ড, স্বস্তি নেই ঘরে-বাইরে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
ফরিদপুরে বছরের সর্বোচ্চ ৪১ ডিগ্রি তাপমাত্রার রেকর্ড, স্বস্তি নেই ঘরে-বাইরে

ফরিদপুর: ফরিদপুরে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই রোদ আর গরমে।

প্রখর রোদে পথ-ঘাট সব কিছুই উত্তপ্ত। সব থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন খেটে খাওয়া শ্রমিকরা।  

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে ফরিদপুরে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) ফরিদপুরে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।

এদিকে তীব্র খরতাপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ জেলার সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। অসহনীয় গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে বয়স্ক ও শিশুরা। রিকশা ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালকরাও নেই স্বস্তিতে।  

ফরিদপুর শহরের ইজিবাইক চালক মোকলেছ শেখ বাংলানিউজকে বলেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে আগের মতো ভাড়া হচ্ছে না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে লোক চলাচল কমে যাচ্ছে। লোক না থাকলে ভাড়া হচ্ছে না, তাই এক বেলা গাড়ি চালিয়ে বেশিরভাগ সময় বাড়িতে বসে থাকি।

জেলা শহরের আলীপুরের রিকশা চালক জাহিদ মোল্যা বাংলানিউজকে বলেন, তীব্র গরম। এই গরমে যাত্রী তেমন মিলছে না। যাত্রী না থাকলে রোজগারও হয় না। গরমের কারণে মানুষ কম বের হলেও আমাদের পেটের দায়ে বের হতেই হয়। যা রোজগার হয় তা দিয়ে কোনো রকম সংসার চালাই।

তিনি আরও বলেন, অসহ্য গরমে বার বার গলা শুকিয়ে আসে। ঠিকমতো রিকশাও চালানো যায় না। বাতাসের সঙ্গে মনে হচ্ছে গরম ভাপ উড়ছে। বৃষ্টি হলে কিছুটা স্বস্তি মিলবে।

জেলার সালথা উজেলার কৃষক ওহিদ মাতুব্বর বলেন, প্রচণ্ড গরমে মাঠের জমিতে কাজ করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে। ভ্যাপসা গরমে বেশিক্ষণ মাঠে অবস্থান করা সম্ভব হচ্ছে না। রোদে ফসলের ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জমিতে সেচ দেওয়ার পরও মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে। সব মিলে অতিষ্ঠ জনজীবন।

ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. গণেশ কুমার আগরওয়ালা বাংলানিউজকে বলেন, অতিরিক্ত তাপদাহে প্রতিবছর হাসপাতালে ডায়রিয়া, পানি শূন্যতা, হিট স্টোকের রোগীর চাপ বাড়লেও এবার স্বাভাবিক রয়েছে। তবে, কিছু সংখ্যক শিশু ও বৃদ্ধরা গরম-ঠাণ্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। প্রয়োজন মতো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অনেককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

ফরিদপুরের আবহাওয়া কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে ফরিদপুরে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটি এ পর্যন্ত জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির তেমন আভাস নেই। তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।