ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

ভোলায় দুই লক্ষাধিক মানুষ সরাসরি দুর্যোগের সম্মুখীন হয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৭ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৪
ভোলায় দুই লক্ষাধিক মানুষ সরাসরি দুর্যোগের সম্মুখীন হয়

ভোলা: ভোলায় প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ রয়েছে যারা সব সময় বিভিন্ন দুর্যোগের সম্মুখীন হয়। তাদের বাদ রেখে জেলার সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।

এরা অধিকাংশই জেলে, মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।  স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সরকারের পাশাপাশি সব জিও এনজিওদের এগিয়ে আসতে হবে।  

বুধবার (৮ মে) গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার হল রুমে আয়োজিত আরএইচএল প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আরিফুজ্জামান এ কথা বলেন।  

তিনি আরও বলেন, এখনই সময় জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সবাইকে এগিয়ে আসা। পরিবেশ রক্ষায় সবাই একজোট হয়ে কাজ করলে আমরা সুন্দরভাবে বাঁচতে পারবো এবং এ সবুজে ঘেরা দেশটাকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে।

পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের অর্থায়নে রেজিলিয়েন্ট হোমস্টেট অ্যান্ড লাইভলিহুড সাপোর্ট টু দ্যা ভারনারেবল কোস্টাল পিপল অব বাংলাদেশ শীর্ষক প্রকল্পটির অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা (জিজেইউএস) ও পরিবার উন্নয়ন সংস্থা (এফডিএ) ভোলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

অনুষ্ঠানে পরিবার উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জহিরুল হক, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম খান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবীর, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল, গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন ও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় উপকূলীয় অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও জলবায়ু সহিষ্ণু বসতভিটা নির্মাণ।  

প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি হ্রাস করা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় তাদের উন্নত ও টেকসই বিকল্প জীবিকার উপায় করে দেওয়া। প্রকল্পটির মাধ্যমে সাতটি উপকূলীয় জেলার (কক্সবাজার, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও খুলনা) প্রায় তিন লাখ অতি দরিদ্র মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকৃত হবেন।  

প্রকল্পটির উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে: উপকূলীয় অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল বাড়ি নির্মাণ/পুনঃনির্মাণ/বসতভিটা উঁচুকরণ, কাঁকড়া হ্যাচারি স্থাপন ও কাঁকড়া চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, মাচা পদ্ধতিতে ছাগল/ভেড়া পালন, বসতবাড়ির আঙিনায় লবণাক্ত সহনশীল সবজি চাষ, বাড়ির আঙিনায় এবং কাঁকড়া ঘেরে ম্যানগ্রোভ বনায়ন ইত্যাদি।  

পাঁচ বছর মেয়াদী প্রকল্পটি বাংলাদেশের সাতটি উপকূলীয় জেলার জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে লক্ষিত জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকার মানের ক্রমোন্নয়ন উন্নয়ন ঘটবে। প্রকল্পটি ভোলা সদর, বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন ও মনপুরা এলাকায় কাজ করবে। প্রকল্পের কর্মকাণ্ড নিয়ে মাল্টিমিডিয়ায় উপস্থাপন করেন পিকেএসএফ এর (আরএইচএল) প্রকল্পের প্রোগ্রাম ম্যানেজার শেখ নজরুল ইসলাম।  

অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন- গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক কর্মসূচি অ্যান্ড লিগ্যাল অ্যাডভোকেট বীথি ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেয় ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, আবদুস সালাম হাওলাদার, বোরহাউনউদ্দিন টবগি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জসিম হাওলাদার, গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার প্রিন্সিপাল অফিসার তানজিলা সুমি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।