ঢাকা: টানা বৃষ্টির ফলে বন্যাপ্রবণ নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
শনিবার (৩ আগস্ট) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী দুদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
গঙ্গা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে। অপরদিকে পদ্মা নদীর পানির সমতল বাড়ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উভয় নদীর পানির সমতল বাড়তে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা-কুশিয়ারা নদীসমূহের পানির সমতলও বাড়ছে।
আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী, আগামী রোববার (৪ জুলাই) নাগাদ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রধান নদীসমূহের পানির সমতল সময় বিশেষে বাড়তে পারে।
দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদীসমূহের পানির সমতল বাড়ছে, যা সামগ্রিকভাবে স্থিতিশীল থাকতে পারে। মুহুরি নদী পরশুরাম পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করে সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে এবং পরে হ্রাস পেতে পারে।
আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী, দেশের উত্তরাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ অঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, ঘাঘট, যমুনাশ্বরী, আপার করতোয়া, পুনর্ভবা, টাঙ্গন, ইছামতি-যমুনা ও আপার আত্রাই নদীসমূহের পানির সমতল সময় বিশেষে বাড়তে পারে।
বর্তমানে ফেনী জেলা ও পার্বত্য চট্টগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পাউবো জানিয়েছে, তাদের পর্যবেক্ষণাধীন বিভিন্ন নদ-নদীর ১১০টি পয়েন্টের মধ্যে পানির সমতল বেড়েছে ৬৪টিতে, কমেছে ৪০টিতে। অপরিবর্তিত আছে ছয়টি পয়েন্টের পানির সমতল।
গত জুন-জুলাইয়ের বন্যায় দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১২ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনো সে ক্ষত কাটিয়ে না উঠতেই ফের কড়া নাড়ছে বান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২৪
ইইউডি/আরবি