ঢাকা: দেশের অধিকাংশ নদ-নদীর পানি কমছে। সেই সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতিও অব্যাহত রয়েছে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, বিভিন্ন নদ-নদীতে তাদের পর্যবেক্ষণাধীন ১১৬টি স্টেশনের মধ্যে পানির সমতল বেড়েছে ২৪টিতে, কমেছে ৮৮টিতে, অপরিবর্তিত আছে তিনটি স্টেশনের পানির সমতল। একটির তথ্য পাওয়া যায়নি।
এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানির সমতল হ্রাস অব্যাহত আছে। বিগত একদিনে পূর্বাঞ্চলীয় কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনী জেলার ভারতীয় ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এবং ত্রিপুরা প্রদেশের অভ্যন্তরীণ অববাহিকাসমূহে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত পরিলক্ষিত হয়নি এবং উজানের নদ-নদীর পানির সমতল হ্রাস অব্যাহত আছে। ফলে বর্তমানে ফেনী ও কুমিল্লা জেলার নিম্নাঞ্চলের বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত আছে। মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ জেলার নদীসমূহের পানির সমতল বিপৎসীমার নিচে নেমে এসেছে।
আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী, আগামী দুদিনে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এ সময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই, ধলাই নদীসমূহের পানির সমতল হ্রাস পেতে পারে।
আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী, আগামী একদিনে দেশের পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ সময় এ অঞ্চলের কুমিল্লা জেলার গোমতী নদীর পানির সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
এছাড়া আগামী একদিনে ফেনী জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। তবে কোনো কোনো স্থানে স্থিতিশীল থাকতে পারে।
আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী, একই সময়ে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ সময় এ অঞ্চলের বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলার সাঙ্গু, মাতামুহুরি, কর্ণফুলী, রহালদা ও অন্যান্য প্রধান নদীসমূহের পানির সমতল সময় বিশেষে বাড়তে পারে।
এদিকে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে, গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে, উত্তরাঞ্চলের তিস্তা-ধরলা-দুধকুমার নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান আছে, যা আগামী দুদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২৪
ইইউডি/আরবি