ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

সিম্পাঞ্জিদের বিদ্যালয়!

পরিবেশ-জীববৈচিত্র্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৪
সিম্পাঞ্জিদের বিদ্যালয়!

ঢাকা: এই প্রথম সিম্পাঞ্জিদের বিদ্যালয়ের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে বিদ্যালয় বলতে কোনো প্রতিষ্ঠান বা নির্দিষ্ট কোনো অবকাঠামো নয়! প্রকৃত অর্থে সিম্পাঞ্জি দল একত্রিত হয়ে তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে আচরণগত প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।

মানুষ ছাড়া এদের ভেতরেই এ ধারা প্রচলিত রয়েছে।

গবেষকরা এই প্রথম বিষয়টি উদ্ভাবন করেন। একে সামাজিক শিক্ষা বলে দাবি করছেন গবেষকরা। একইসঙ্গে তাদের এ বৈশিষ্ট্য মানবসভ্যতা বিকাশের সঙ্গেও মিল রয়েছে বলে মত দেন তারা।

উগান্ডার বুডোনগো বনে ‘সনসো’ সিম্পাঞ্জি গোষ্ঠীর ওপর এ গবেষণা চালানো হয়। সিম্পাঞ্জি গোষ্ঠীর ভেতর আচরণগত পার্থক্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা চালিয়ে আসছিল দলটি।

গবেষণা দলের নেতৃত্ব দেন ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট অ্যান্ড্রো’র গবেষক ডা. ক্যাথরিন হোবেটার।

সিম্পাঞ্জি দলের ভেতরে যে আচরণগত পার্থক্য রয়েছে তাকে ‘সংস্কৃতি’ বলে দাবি গবেষক দলের।

তারা বলেন, সিম্পাঞ্জি দলে আচরণের এ স্বতন্ত্রতা সামাজিক শিক্ষার মধ্য দিয়ে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বয়ে চলে। মানুষের ক্ষেত্রেও বিষয়টি একই। যেমন একজন মানুষ কিছু শিখলে অন্যদের তা শেখান।

অ্যাংলিয়া রাসকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিদ্যা অনুষদের জেষ্ঠ্য প্রভাষক ডা. উইলিয়াম হোপিট বলেন, সিম্পাঞ্জিদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ রয়েছে এ গবেষণা তার একটি বড় প্রমাণ। একইসঙ্গে এটাও প্রমাণিত যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রজন্ম পেরিয়ে প্রজন্মে তাদের সংস্কৃতিতেও পরিবর্তন আসে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।