রাজশাহী: বিপন্ন প্রজাতির তিনটি গ্রিধিনি শকুন উদ্ধার করেছে রাজশাহী বিভাগীয় বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের উদ্ধারকারী দল।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও সৈয়দপুর সামাজিক বন নার্সারি কেন্দ্রের সহায়তায় উপজেলার কেশবা গ্রাম থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) উদ্ধারকালে শকুনগুলো আহত ও অসুস্থ অবস্থায় ছিলো।
রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোল্যা রেজাউল করিম বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে বাংলানিউজকে শকুন উদ্ধারের এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এক সময় এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে কয়েক প্রজাতির শকুন বসবাস করলেও প্রকৃতিতে বর্তমানে শকুনের সংখ্যা আশংকাজনক হারে কমেছে।
তিনি আরও জানান, গবাদি পশুর চিকিৎসায় ব্যবহৃত ডাইক্লোফেনাক জাতীয় ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় দ্রুত শকুনের কিডনি নষ্ট হচ্ছে। এ কারণে শকুনের এ প্রজাতি বিলুপ্তি হচ্ছে। উদ্ধারের পর শকুনগুলো সৈয়দপুর সামাজিক বনায়ন ও নার্সারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রেখে খাবার পরিবেশন, প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান ও নিবিড় পরিচর্যা করা হয়। পরে অবস্থার উন্নতি হলে শকুনগুলোকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় আজ (বৃহস্পতিবার) বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ রাজশাহী কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
শকুনগুলো উদ্ধারকালে বন্যপ্রাণি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল মজিদ, ফরেস্টার জোবায়ের হোসেন, সানাউল ইসলাম, জুনিয়র ওয়াইল্ডলাইফ স্কাউট ও বনবিভাগের কর্মচারীরা।
বাংলাদেশ সময় : ১৫৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৪