ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

কাঁটাযুক্ত ‘কাঁটাচুয়া’ (ভিডিও)

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, স্পেশালিস্ট এনভায়রনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৪
কাঁটাযুক্ত ‘কাঁটাচুয়া’ (ভিডিও) ছবি: সংগৃহীত

শ্রীমঙ্গল: বিচিত্র আমাদের প্রাণিজগৎ, বিচিত্র এর পরিধি। কত শত-সহস্র দেখা-অদেখা প্রাণী যে জল-স্থল-অন্তরীক্ষে ঘুরে বেড়াচ্ছে তার ইয়ত্তা নেই! এভাবেই নানা প্রাণবৈচিত্র্যে ভরপুর বিপুলা পৃথিবী।

যে প্রাণীরা একসময় আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়াত, তাদের অনেকেই আজ ঠাঁই নিয়েছে বিলুপ্তির তালিকায়। বিপন্ন হওয়ার পথে অনেক প্রাণী।

বিলুপ্তপ্রায় তেমন একটি প্রাণী কাঁটাচুয়া। ইংরেজি নাম হেজহগ (Hedgehog)। সমস্ত শরীরজুড়ে রয়েছে তার কাঁটা ছড়ানো। ঘনভাবে বিস্তৃত। তবে তীক্ষ্ম বা ধারালো নয়। মুখ ছাড়া সারা গা জুড়ে অসংখ্য কাঁটা। গায়ে কোথাও কামড় দেবার যো নেই! কাঁটা নেই শুধু গলার নীচটাতে। লোমের পরিবর্তে কাটাময় শরীর ধারণ করার ফলেই তার নাম রাখা হয়েছে কাঁটাচুয়া। অনেকেই হয়তো পরিচিত নন এই বিশেষ প্রাণীটির সঙ্গে। তবে মেলাতে পারবেন সজারুর সঙ্গে।

ভারতের গুজরাট, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি ও দক্ষিণ ভারতের কয়েকটি শুষ্ক এলাকায় হাতেগোনা কিছু হেজহগ দেখা যায়।

কাঁটাচুয়ার স্তন্যপায়ী জন্তু। অনেকটা সজারুর ছানার মতো দেখতে। তবে শরীরের কাঁটাগুলি সজারুর তুলনায় অনেক ছোট। এরা শুষ্ক পরিবেশে বসবাসকারী প্রাণী। কাঁটাচুয়ার প্রায় ১৭টি প্রজাতি মিলিয়ে এরিনাসিওমর্ফা বর্গের এরিনাসি পরিবার। এরা দৈর্ঘ্যে ২০ থেকে ৩০ সেমি এবং ওজন ২৮ গ্রাম থেকে ৬শ’ গ্রাম হয়। কখনো আবার ১.৫ কেজি অবধি।

কাঁটাচুয়া সাধারণত এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের শুষ্ক পরিবেশ বা মরুভূমিতে পাওয়া যায়। অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা মহাদেশে এদের পাওয়া যায় না। সাধারণত এরা পোকা ও মরুভূমির বালির নিচে থাকা বিভিন্ন পাখির ডিম খেয়ে থাকে। এদের জীবিতকাল ২ থেকে ৫ বছর।

সরীসৃপ গবেষক শাহরীয়ার সিজার রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমার জানা মতে, আমাদের দেশের কোথাও কাঁটাচুয়া পাওয়া যায় না। তবে ওই রকম কাঁটাযুক্ত অপর  প্রাণী সজারু (Porcupine) পাওয়া যায়। |


বাংলাদেশ সময়: ০৬০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।