ঢাকা: ‘রাতের পাখি’ শব্দটি কানে যেতেই প্রথমে পেঁচার নামটিই মনে আসে। আর পেঁচার মধ্যে হুতোমপেঁচাই বেশি পরিচিত।
কিন্তু সাঁতার! পাঠক, ভিডিওটি দেখার পরে আপনাদেরও সন্দেহ দূর হয়ে যাবে পেঁচা কত ভালো সাঁতারু। সবচেয়ে মাজার বিষয়, পানিতে সাঁতার কাটতে দেখা হাঁস, পানকৌড়ি কিংবা অন্য পাখিদের মতো নয়! এদের সাঁতার কাটার ধরন একেবারে মানুষের মতো।
শিকাগোর আলোকচিত্রী স্টেভ স্পিটজার এই গ্রেট হর্নড ওল’র সাঁতার কাটার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেন। গ্রেট হর্নড ওল, টাইগার ওল বা টাইগার অব দ্য এয়ার নামেও পরিচিত।
দেশটির রোজার্স পার্কের লোয়োলা পার্কের বিচ থেকে ছবিগুলো ধারণ করেন তিনি। স্টেভ জানান, মিচিগান লেকের পানিতে হঠাৎ তিনি লক্ষ্য করেন কিছু একটা নড়ছে। ক্যামেরাতে চোখ রাখতেই দেখতে পান একটি গ্রেট হর্নড ওল। কেবল ছবিই নয়, সাঁতার কাটার ভঙ্গিতে মুগ্ধ হয়ে তিনি একটি ভিডিও ধারণ করেন।
আগে থেকেই উপস্থিত দর্শকদের কাছে জানা যায়, গোসল করতে নামার আগে পেঁচাটিকে দু’টি বড় আকারের বাজ পাখি আক্রমণ করে। তাদের হাত থেকে বাঁচতেই পেঁচাটি পানিতে নেমে পড়ে। স্থানীয় লোকাল বার্ড রেসকিউ গ্রুপ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই সাঁতরে অনেক দূর চলে যায় পেঁচাটি।
পেঁচার সাঁতার কাটার দৃশ্য ধারণ করার বিষয়টি এবারই প্রথম নয়, প্রায় একই জায়গায় ২০১১ সালেও এমন একটি দৃশ্য দেখা যায়।
পাখি উদ্ধারকারী ডন কেলার বলেন, সাধারণত আহত পাখিদের উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়া হলে তারা দূরে কোনো জায়গায় যেতে সাহস পায় না এবং যে এলাকায় তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়, তার কাছাকাছি এলাকায় থাকতে নিরাপদ বোধ করে।
তিনি বলেন, শুরুতে যখন পাখিটি উদ্ধার করতে পানিতে নামি তখন অবাক হয়ে যাই পেঁচাকে সাঁতার কাটতে দেখে। দেখে মনে হচ্ছিলো পানিতে পেঁচাটি ডানা ঝাপটাচ্ছে না, পা দিয়েও যেন অনেকটা প্যাডেল করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৪