ঢাকা: নদীর সীমানা রক্ষাসহ বিভিন্ন স্বার্থ রক্ষায় টাস্কফোর্স যেসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এরফলে অবাধে দখল হয়ে যাচ্ছে নদীর চারপাশ।
শনিবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ছোট মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মলনে এসব অভিযোগ তোলে পরিবেশবাদী সংগঠন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।
এসময়ে আদালতের রায় মেনে নদীর সীমানা পিলার স্থাপনের দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক শরীফ জামিল। তিনি জানান, নদীর অবস্থান, পুনরুদ্ধার ও সংস্কারের জন্য কাজ করতে হবে। ভবনের ডিজাইনেও যেন নদীর মধ্য স্রোতকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রেখেই ভবন তৈরি করতে হবে।
বাপার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন বলেন, নদী রক্ষায় একটার পর একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও তাতে কোনো কাজ হয় না। টাস্কফোর্সের আচরণ এমন যে তারা দখলদারদের গায়ে হাত দিতে চায় না। প্রথম যে পিলার স্থাপন করা হয় সেটিই নিয়ম ভেঙে। এভাবে চলতে থাকলে আমরা নদীকে কোনোভাবেই বাঁচিয়ে রাখতে পারবো না।
তিনি জানান, সরকারের জেলা প্রশাসন এসব বিষয়ে একেবারেই কাজ করতে চায় না। একে অপরের দোহাই দিয়ে গাছাড়া ভাব নিয়ে থাকে তারা। তুরাগ নদীর দু’পাশে ইতোমধ্য প্রায় ৫ কোটি ২৩ লাখ ফিট জায়গা দখল হয়ে গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সোনাই নদীর মাঝখানে দখলদাররা পিলার স্থাপন করেছে, বুড়িগঙ্গার নদীর অবস্থাও খুবই নাজুক।
এসময় দাবি করা হয়, যেকোনো প্রকার বরাদ্দ, ভরাট ও নির্মাণকাজ দ্রুত বন্ধ করতে হবে। এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে সরকারকে।
বাপার যুগ্ম সম্পাদক শাহজাহান মৃধা বলেন, নদী রক্ষায় টাস্কফোর্সের চেয়ে বড় শক্তি হিসেবে কাজ করতে পারে গণমাধ্যম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৫