ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

বৃষ্টির আবেগে শিম্পাঞ্জির নাচ! (ভিডিও)

পরিবেশ-জীববৈচিত্র্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০২ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১৫
বৃষ্টির আবেগে শিম্পাঞ্জির নাচ! (ভিডিও)

ঢাকা: বৃষ্টি নিয়ে আমাদের জীবনে কতই না স্মৃতি রয়েছে! সেই কবে যারা পেরিয়ে এসেছেন শৈশব, কর্মব্যস্ত জীবনের ফাঁকে একটু বৃষ্টি দেখলেই তাদের মনেও উঁকি দেয় ফেলে আসা সেসব স্মৃতি।

বৃষ্টি যে কেবল মানুষের আবেগকেই প্রভাবিত করে এমন নয়।

মানুষের মতো শিম্পাঞ্জিও আবেগাপ্লুত হয় বৃষ্টি দেখলে। ময়ূরের মতো তারাও নাচে বৃষ্টিতে ভিজে।

গবেষকরা বর্ষাকালে পশ্চিম উগান্ডার রেইন ফরেস্টে তিন মাস কাজ করেন। গবেষণা শেষে তারা জানান, সাধারণত নভেম্বর মাসের ১৬ তারিখে বর্ষা মৌসুম শেষ হয়ে যায়।

কখনো কখনো ১০ দিন কম-বেশি হয়। কিন্তু ডিসেম্বর পর্যন্তই ছাড়া ছাড়া বৃষ্টি হয়। প্রচুর বৃষ্টির ফলে জলাভূমি পার হওয়ার সুযোগ থাকে না। তখন গাছ ফেলে সেতু বানানো ছাড়া কোনো উপায় থাকতো না। একটু বেসামাল ধাপ দিলেই আহত হওয়া অবধারিত।

বনের বাইরে আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী মানুষরা বড়দিনে বৃষ্টি প্রত্যাশা করেন।

তবে আম‍রা কিছুটা শুষ্ক আবহাওয়া আশা করছিলাম। যদিও সঙ্গে রাবারের জুতা, রেইন জ্যাকেট সবই ছিল।

দেখার বিষয় ছিল বর্ষা মৌসুম নিয়ে শিম্পাঞ্জিদের মনোভাব কেমন!

প্রথমে গাছের ডালে বসে থাকা শিম্পাঞ্জিদের দেখে মনে হচ্ছিল তারা খুশি না। বাতাস শুরু হতেই তারা গাছের ডাল শক্ত করে ধরে অনেকটা গাছের আড়ালে চলে গেল। কিন্তু যেই না বৃষ্টি ‍শুরু হলো, সঙ্গে সঙ্গে সম্পূর্ণ পাল্টে গেল পুরুষ শিম্পাঞ্জির আচরণ।

বৃষ্টি যে মানুষের পাশাপাশি প্রাণীদেরও আবেগী করে তুলতে পারে তা বোঝা গেল বৃষ্টির মধ্যে শিম্পাঞ্জির নাচ দেখে। বৃষ্টি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সিম্পাঞ্জি গাছ থেকে নেমে আসে এবং নাচতে শুরু করে। মানুষের মতো না হলেও, নাচ বিষয়টা বুঝতে অসুবিধা হয় না। টানা বৃষ্টির মধ্যে কাজ করার সময় বৃষ্টি আমার ভেতরেও হতাশা তৈরি করেছিল। তাদের ক্ষেত্রেও বিষয়টি তাই কিনা? বা এই নাচ তাদের বৃষ্টি বন্ধের উপাসনা কিনা? তা গবেষণার বিষয়।

তবে বর্ষকাল খুবই উপকারী শিম্পাঞ্জিদের জন্য। কেননা অক্টোবর-নভেম্বর মাসের ভারী বৃষ্টিতে প্রচুর খাদ্য সংস্থান হয় তাদের। বিশেষত শিম্পাঞ্জিদের প্রিয় খাবার ফিগ (Ficus mucuso)।

শিম্পাঞ্জিদের প্রধান খাবার এটাই একমাত্র পরিচয় নয়। খ্রিস্টান ধর্ম প্রচলন হওয়ার আগে পশ্চিম উগান্ডায় এই গাছটিকে প্রাকৃতিক দেবতা মনে করা হতো। যেখানে বর্তমানে এনগোগো রিসার্চ ক্যাম্প রয়েছে সেখানে প্রায় ৭০ বছর আগে একটি ফিগ গাছ ছিল এবং ওই জায়গাটিকে গ্রামবাসীরা উপাসনা কেন্দ্র হিসেবে মানতো।

এমনকি ১৯৭০ সালে যখন গবেষকরা প্রথম এনগোগোতে আসেন তখনও এই বিশ্বাস প্রবল ছিল সেখানে। আকাশে মেঘ জমে অন্ধকার হয়ে এলেই গ্রামবাসীরা গাছতলায় এসে পূজা করতে শুরু করতো।



বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।