ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

বুলবুলির সংসারে নতুন অতিথি

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, স্পেশালিস্ট এনভায়রনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৫
বুলবুলির সংসারে নতুন অতিথি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

শ্রীমঙ্গল: অতি পরিচিত একটি পাখি বুলবুলি। আমাদের আশপাশেই বিচরণ এদের।

বাসা বাঁধে সাধারণত ছোট গাছে। বারান্দার লতানো গাছ, ফ্ল্যাটের নির্জন বেলকনির গাছ-লতাও বাদ যায় না। এসব জায়গায়ই ছানা ফোটানোয় পছন্দ বুলবুলির।

সম্প্রতি নজরুলসঙ্গীত শিল্পী বিপাশা গুহঠাকুরতার ফ্ল্যাটের বেলকনিতে ছানা ফুটিয়েছে বুলবুলি দম্পতি।

বিপাশা বাংলানিউজকে বলেন, গত ৪ এপ্রিল দেখলাম আমার ফ্ল্যাটের লতানো একটি গাছে বুলবুলি দম্পতি ছানা ফুটিয়েছে। দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। ডিম দেওয়ার ঠিক ১১ দিন পর আমাদের বুলবুলি পরিবারে ফুটফুটে ছানা তিনটি আসে। গত বছরও এভাবেই ফুটিয়েছিল। তবে তিনটি ডিমের একটি নষ্ট হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, ‌এবার সবগুলো ডিম থেকেই ছানা এসেছে। এ সময়ে কাল বোশেখীর দাপট হতে পারে ভেবে চিন্তিত থাকি। উড়তে শেখার আগ পর্যন্ত কোনো কিছুতেই মন বসাতে পারি না। গতবার একদিন চিল এসেছিলো। অনেকগুলো কাক মিলে ধাওয়া করেছিলো ওই চিলকে। এ দৃশ্য দেখে খুব ভালো লেগেছিলো সেদিন।

বুলবুলি পাখিরা বাড়ির ঝাড়বাতির মধ্যেও বাসা বাঁধে বাচ্চা ফোটানোর জন্য। পরম যত্নে তাদের বসবাসের সুযোগ করে দেন বিপাশার মতো পাখি ও প্রকৃতিপ্রেমী মানুষরা। এমন মানুষদের ভালোবাসায় পাখিরা তাদের প্রজন্মরক্ষার সুযোগ পায়।

নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে অবশেষে ছানাগুলো বড় হওয়ার পর ডানা মেলে প্রকৃতির মাঝে। আকাশ তাদের বরণ করে দেয় অসীম মহাশূন্যতায় স্বাগত জানিয়ে।   

গবেষকদের কাছে এরা বাংলা বুলবুল, লালপুচ্ছ বুলবুলি বা কালচে বুলবুলি নামে পরিচিত হলেও সাধারণের কাছে এরা বুলবুলি হিসেবে সুপরিচিত। ইংরেজি নাম Red-vented Bulbul এবং বৈজ্ঞানিক নাম Pycnonotus cafer। বুলবুলি চঞ্চল স্বভাবের পাখি। সারাক্ষণ লাফায় ও দৌড়ঝাঁপ করে। ডাকাডাকি অথবা গান শুনিয়ে মুখরিত করে রাখে চারপাশ।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৫
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।