ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

মেরু ভাল্লুকের খাদ্যতালিকায় এবার ডলফিন!

সানজিদা সামরিন, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩৬ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৫
মেরু ভাল্লুকের খাদ্যতালিকায় এবার ডলফিন!

ঢাকা: ডলফিনদের এবার উত্তরে যেতে বারণ! আর্কটিকের শ্বেত ভাল্লুকেরাই এই বারণের মূল কারণ।

এই প্রথমবারের মতো মেরুর ভাল্লুককে ডলফিন খেতে দেখলেন নরওয়ের বিজ্ঞানীরা।

তাদের মতে, বৈশ্বিক উষ্ণতাই প্রকৃতির এই অদ্ভুত আচরণের জন্য দায়ী। মেরু ভাল্লুকের খাদ্যতালিকায় প্রধানত রয়েছে সিল, মাছ, সামুদ্রিক পাখি প্রভৃতি।

সাধারণত গ্রীষ্মের সময় উত্তরের বরফ গলে গেলে ডলফিনরা নরওয়ের আর্কটিক অঞ্চলে চলে যায়। শীত বা বসন্তে এই এলাকায় তাদের দেখা যায় না। কারণ সেসময় এই এলাকাজুড়ে থাকে শুধুই বরফের রাজত্ব।


কিন্তু এবছর প্রচুর গরমের ফলে বসন্তকালেই বরফ গলতে শুরু করে। অ‍ার সেই সুবাদে এখানে ডলফিনদের আনাগোনা। অসময়ে এ অঞ্চলে এসে ভাল্লুকের হাতেই কি প্রাণ যাবে তাদের!

ক্ষুধাতুর মেরু ভাল্লুকের ডলফিন ভোজনের ভয়ানক ছবি দেখে নরওয়ে পোলার ইনস্টিটিউটের গবেষক বিজ্ঞানী জন আর্সের রীতিমতো তাক লেগে গেছেন।


তিনি জানান, এবছর সম্ভবত মেরু ভাল্লুকের খাদ্যতালিকায় আরও এক নতুন প্রজাতি যুক্ত হয়েছে। এর কারণ, পরিবেশ বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে ডলফিনরা সময়ের আগেই উত্তরের পথে এসে পৌঁছেছে।

তবে, ভাল্লুকের ডলফিন শিকার এটাই প্রথম নয়। ২০১৪ সালের এপ্রিলেও এমন একটি দৃশ্য চোখে পড়ে বিজ্ঞানীদের। বিজ্ঞানীরা জানান, পরপর দুই শীতে বরফের আশঙ্কাজনকভাবে গলে যাওয়া ডলফিনদের আরও এইমুখী করতে পারে।

তারা বলেছেন, উত্তরীয় বাতাসের প্রভাবে ধেয়ে আসা পুরু বরফ খণ্ডের দ্বারাই সম্ভবত ডলফিনরা বিপদগ্রস্ত হয়ে এখানে আটকে গেছে।


আর্স জানান, যে ভাল্লুকটির ছবি তোলা হয়েছে সে সম্ভবত দু’টি ডলফিন শিকার করেছিলো। একটি ডলফিনকে সে গ্রাস করেছে আর অন্যটিকে বরফের নিচে সংরক্ষণ করেছে পরে খাওয়ার জন্য।

এটা এমনই এক ঘটনা যা বিজ্ঞানীরা এর আগে দেখেননি। আর্স আরও বলেন, ডলফিন যদি ভাল্লুকের সামনে এসে পড়ে তাহলে তাদের মৃত্যু ছাড়া কোনো গতি নেই। ২০১৪ সালের পর এমন আরও পাঁচটি ঘটনা ঘটেছে যেখানে ডলফিন বরফে আটকে যাওয়ার পর ভাল্লুকেরা তাদের খেয়ে ফেলেছে।

মেরু ভাল্লুকেরা সুযোগসন্ধানী শিকারি। সুযোগ পেলে ছোটখাট তিমি দিয়েও তারা উদরপূর্তি করে। সেখানে ডলফিন তো কোনো ব্যাপ‍ারই না!


বৈশ্বিক উষ্ণ‍ায়নের ফরে আগামী ৪০ বছরের মধ্যেই আর্কটিক বরফশূন্য হয়ে যাবে বলে ধারণা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পৃথিবীর অন্যান্য অংশের তুলনায় বরফ এলাকায় উষ্ণতা বেড়েছে প্রায় চারগুণ। রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সের মত অনুযায়ী,  ২০৫০ সালে উত্তর মেরুতে ভাসমান কিছু বরফখণ্ড  ছাড়া সব বরফ গলে যাবে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৫ ঘণ্টা, জুন ২০ ২০১৫
এএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।