ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

সাগরজলে সোনার জ্যান্ত লবস্টার!

সানজিদা সামরিন, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০০ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৫
সাগরজলে সোনার জ্যান্ত লবস্টার!

ঢাকা: বড়সড় একটি লবস্টার। চকচকে সোনালি রং তার।

দেখে যে কারও মনে হবে স্বর্ণ দিয়ে মোড়ানো তার পুরো শরীর। স্কটল্যান্ডের ইস্ট লোথিয়ানের ডানবারের কাছে মিলেছে এই সোনালি লবস্টার। বিরল প্রজাতির এ লবস্টারটি ধরেছেন এডি ডুগাল নামের এক ব্যক্তি।

গবেষকদের ধারণা, অবিশ্বাস্য রং ও শোভা বর্ধনকারী এ লবস্টার ৫০ লাখে মাত্র একটি হতে পারে। লবস্টারটি বর্তমানে স্কটল্যান্ডের ফাইফের উত্তর কুইন্সফেরির ডিপ সি ওয়ার্ল্ড অ্যাক‍ুয়ারিয়ামে রাখা হয়েছে।

অ্যাকুয়ারিয়ামের এক মুখপাত্র মাইকেল মরিস জানান, সোনালি লবস্টারের এ রং সম্পর্কে কেউই পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। তবে তা জিনগত বা বাইরের কোনো উদ্দীপকের প্রতি প্রতিক্রিয়ার কারণেও হতে পারে।
মরিস আরও বলেন, আমরা এটাও জানিনা খোলস পরিবর্তনের পরও কি এর রং এমনটাই থাকবে নাকি সাধারণ নীল রং হয়ে যাবে।


অ্যাকুয়ারিয়াম কর্তৃপক্ষ জানায়, সোনালি বিরল এ চিংড়ি সদৃশ জলজ প্রাণীটি স্থানীয় প্রদর্শনীতে দেওয়ার আগে কয়েকদিন এটিকে সংরক্ষিত এলাকায় রাখা হবে।

গলদা চিংড়ির মতো দেখতে লবস্টার পৃথিবীর আদি প্রাণীদের মধ্যে একটি। এখন থেকে একশ’ মিলিয়ন বছর আগে এদের ফসিল পাওয়া গেছে। কোনো কোনো লবস্টার ৬০ বছরেরও বেশি সময় বাঁচে।  

চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের স্কারবোরো উপকূলে পাওয়া গেছে এমনই বিরল আরও এক লবস্টার। যার নিচের অংশের অর্ধেক কালো ও অর্ধেক কমলা রঙের। গবেষণা করে দেখা যায়, ৫০ মিলিয়নে মাত্র একটি লবস্টার এমন হয়।
লবস্টার ইনস্টিটিউটের গবেষণা অনুযায়ী, ‍এরা সোনালি লবস্টারের চেয়েও দশগুণ বেশি বিরল শ্রেণীর। ইনস্টিটিউটের দেওয়া তথ্যমতে, আলবিনো লবস্টার সবচেয়ে বিরল লবস্টার। এরা একশ মিলিয়নে ধরা পড়ে মাত্র একটি।


২০১০-এ এমন একটি লবস্টার ধরা পড়েছিলো পশ্চিম ইয়র্কশায়ারের ব্রিডলিংটনে। পরে এটিকে স্কারবোরো সি লাইফ সেন্টারে রাখা হয়।


লবস্টারের রঙের ভিন্নতার কারণ
সাধারণত ৫০ মিলিয়নে একটি লবস্টারের ব্যতিক্রম রং দেখা যায়। গবেষকদের মতে, দুই মিলিয়নে একটি নীল, ৩০ মিলিয়নে একটি হলুদ ও একশ’ মিলিয়নের একটি আলবিনো হয়। জিনগত পরিবর্তনের কারণে কিছু কিছু লবস্টারের নিচের অংশের দু’পাশে দুই রকম রং হয়।
প্রাণীর রং নির্বাচন ভ্রুণের কোষ বিভাজনের প্রথম থেকেই শুরু হয়। তাই একটি রঞ্জকের জিন একটি কোষে পৌঁছে ও অন্য রঞ্জকের জিন অন্য কোষে প্রভাব বিস্তার করে। যার ফলে দুটি অংশে দুটি রং দেখা দেয়।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৫/আপডেট: ১১০৩ ঘণ্টা
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।