ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

বিশ্বের বিলুপ্তপ্রায় ৮ প্রাণী

পরিবেশ-জীববৈচিত্র্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৫
বিশ্বের বিলুপ্তপ্রায় ৮ প্রাণী

ঢাকা: সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিশ্বের বন্যপ্রাণিরা সাধারণের তুলনায় ১শ ১৪ গুণ দ্রুত বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এ ধ্বংসযজ্ঞ এতোটাই দ্রুত হচ্ছে, হয়তো অদূর ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে কোনো কোনো প্রাণী রূপকথায় রূপান্তর হবে।



সম্প্রতি অনলাইন ইমেজ শেয়ারিং কমিউনিটি ইমগুর প্রকাশ করেছে বেশ কয়েকটি বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণির ছবি। ইমগুরের সুবাদে আমরাও জেনে নিই তাদের সম্পর্কে।

হুডেড সিল

উত্তর আটলান্টিকের খুব স্বল্প জায়গাজুড়ে এদের বিচরণ। অথচ ‌এরাই শিক‍ারির কবলে বেশি পড়ে। এরা লম্বায় আট ফুট ও ওজনে সর্বোচ্চ চারশো দশ কেজির মতো হয়।

ট্রি ক্যঙ্গারু

এ প্রজাতির ক্যাঙ্গারু গাছেই থাকে। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড ও আফ্রিকার নিউগিনির চিরহরিৎ বনাঞ্চলে বসবাস করে এরা। শিকার ও বন নিধনের ফলে এদের হার কমে এসেছে মাত্র এক শতাংশে।

বেয়ারডেড ভালচার

লাল পালকের মুকুটপরা এ পাখির বসবাস হিমালয় পর্বত এবং ইউরোপ ও এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে। ভেড়া ও মানবশিশুদের আক্রমণের আশঙ্কায় গত শতাব্দীতেই অধিকাংশ বেয়ারডেড ভালচার নিধন করা হয়েছে। বর্তমানে পৃথিবীতে এদের সংখ্যা মাত্র ১০ হাজার।

অ্যাক্সোলটল

মিষ্টি এ প্রাণীর আরেক নাম মেক্সিকান স্যালামান্ডার। ছোট্ট অদ্ভুত এ উভচর প্রাণী মধ্য আমেরিকার হ্রদ ও মেক্সিকো শহরের সোচিমিলকো হ্রদে বসবাস করে। ২০১০ সালে এরা ছিলো বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর তালিকায়। আর ২০১৩-তে এসে একটি স্যালামান্ডারের দেখাও পাওয়া যায়নি।  

সাইগা এন্টিলপ

মঙ্গোলিয়া, ইউরেশিয়া, উত্তর-পশ্চিম চীনের ডুজাংগেরিয়ার তৃণভূমিতে সাইগা এন্টিলপের আবাসভূমি। অদ্ভুত এ প্রাণীটি দেখতে অনেকটা এলিয়েনের মতো। ঝোলানো নাকের সাইগা এন্টিলপ সংখ্যায় আছে মাত্র কয়েক হাজার।

লেঙ্গুর চাতো

এশিয়ান এ প্রাণীটি লম্বায় সর্বোচ্চ ১৩ ফুট হয়। এদের বিলুপ্ত হওয়ার একমাত্র কারণ, বন নিধন।

ঘড়িয়াল

সারাবিশ্বে মোট ঘড়িয়ালের সংখ্যা মাত্র ২শ ৩৫। এদের বেশিরভাগই রয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশে। এরা লম্বায় ২০ ফুট ও ওজনে প্রায় ১শ ৬০ কেজি।

কোকোনাট ক্র্যাব

এদের ওজন নয় কিলোগ্রাম। নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে কোকোনাট ক্র্যাবের সঙ্গে নারকেলের কোনো সম্পর্ক রয়েছে। এরা সহজেই নারকেল গাছে চড়ে তাদের শক্ত থাবার সাহায্যে নারকেলের খোলস ভেঙে ফেলে। সুখাদ্য বলে বিবেচিত হওয়ায় কোনো কোনো স্থানে কোকোনাট ক্র্যাব সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৫
এসএমএন/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।