ঢাকা: ‘সবুজে শ্যামলে বাঁচুক প্রাণ’ শপথে পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন তরুপল্লবের সদস্যরা শুক্রবার (০৬ নভেম্বর) সকালে সমবেত হয়েছিলেন রমনার বটমূলে।
এটি ছিলো সংগঠনটির ২০তম ‘গাছ দেখা, গাছ চেনা’ অনুষ্ঠান।
এদিন বেশ কয়েকটি গাছের জীবন, ফুল, ফল, ওষুধি গুণ সম্পর্কে আলোচনা হয়। প্রথমে দর্শনার্থীরা চিনে নেন সবুজাভ ফুলে ছাওয়া ছাতিম গাছটিকে। পরে একে একে চেনেন চালতা, ফলসা, দেশি গাব, সোনাপাতি ইত্যাদি গাছ। মহুয়া গাছের নিচে এসে শেষ হয় দিনের কার্যক্রম।
সূচনা বক্তব্য রাখেন তরুপল্লবের সাধারণ সম্পাদক মোকারম হোসেন।
অনুষ্ঠানে উদ্ভিববিদ অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মা বলেন, শুধু কাঠের বাজারমূল্য দিয়ে নয়, বরং প্রকৃতি ও প্রাণী জীবনে সামগ্রীক অবদান বিবেচনায় গাছের প্রকৃতমূল্য নির্ণয় করা প্রয়োজন।
নিসর্গী বিপ্রদাশ বড়ুয়া চমৎকার করে বুঝিয়ে দেন বট ও অশ্বত্থের পার্থক্য। পাখি বিশারদ ইনাম আল হক জানান রমনার গাছে গাছে বাস করা পাখিদের জীবনযাপনের খুঁটিনাটি।
গাছ দেখতে এসেছিলেন অনেকে। শিশু কিশোরেরাও বাদ পড়েনি। এ যেন ছিল বাবা-মায়ের হাত ধরে পরমবন্ধু গাছের সঙ্গে তাদের নতুন করে আত্মিক-বন্ধন স্থাপন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের একদল শিক্ষার্থীর কৌতূহলী অংশগ্রহণও ছিল চোখে পড়ার মতো। সবমিলিয়ে শ’দেড়েক প্রকৃতিপ্রেমী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
২০০৮ সালের ৫ ডিসেম্বর রমনাপার্কে গাছ চেনানোর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তরুপল্লবের যাত্রা শুরু। তরুপল্লব গাছ চেনানোর অনুষ্ঠান ছাড়াও উদ্যানকর্মীদের নিয়ে কর্মশালা, বৃক্ষরোপণ ও প্রকৃতি বিষয়ক সাময়িকী প্রকাশনাসহ নানামুখী সমাজ সচেতনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৫
এএ