ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

বাইক্কাবিলের পাখিদের অভিভাবক মিরাশ মিয়ার প্রয়াণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৫
বাইক্কাবিলের পাখিদের অভিভাবক মিরাশ মিয়ার প্রয়াণ ছবি: নূর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার): বাইক্কাবিলের পাখিপ্রেমী মিরাশ মিয়া আর নেই (ইন্না...রাজিউন)। ১৭ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১০টায় পাখিদের বন্ধু, রক্ষক মিরাশের দাফন হাজিপুর গ্রামের পৈত্রিক বাড়িতে সম্পন্ন হয়।



সোমবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।  
 
তার মৃত্যুর খবরে পাখি পর্যবেক্ষক, আলোকচিত্রী ও গবেষকদের মাঝে গভীর শোক নেমে আসে।

ক্লাইমেট-রেজিলিয়েন্ট ইকোসিস্টেমস্ অ্যান্ড লাইভলিহুডস্ (ক্রেল) প্রকল্পের বাইক্কাবিল সাইট অফিসার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, হাওরের প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে এবং ব্যবস্থাপনায় মিরাশ মিয়ার কর্মদক্ষতা অতুলনীয়। গ্রামের মানুষ হয়েও জীববৈচিত্র্য রক্ষণাবেক্ষণে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য।  
 
তিনি আরও বলেন, মিরাশ মিয়া পরিযায়ী পাখিদের ইংরেজি ও বাংলা নাম জানতেন। শুধু তা-ই নয়, চিনতেন কোনটা কোন পাখি। বাইক্কাবিলের পাখি পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে টেলিস্কোপ দিয়ে আগত পর্যটকদের পাখির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেন তিনি।

বাইক্কা বিলে কোন পাখি কখন ‍আসে, কখন যায়, কোনে পাখিটি এবার নতুন এলো- এসব তথ্য সবার আগে মিলতো মিরাশ মিয়ার কাছে। কনকনে শীত উপেক্ষা করে পাখিরক্ষায় বিলের পর্যবেক্ষণ টাওয়ারেই রাতযাপন করতেন তিনি।
 
মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে ছাড়াও তিনি বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন পরোপকারী, বিনয়ী ও প্রকৃতিপ্রেমী।

বড়গাঙ্গিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠনের (আরএমও) প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি ছিলেন মিরাশ মিয়া।   
 
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৫
বিবিবি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।