ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

দেশে নতুন ২ প্রজাতির প্রজাপতির সন্ধান

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৬
দেশে নতুন ২ প্রজাতির প্রজাপতির সন্ধান

ঢাকা: প্রজাপতির তালিকা প্রণয়ন কার্যক্রমের আওতায় স্পটলেস অকব্লু  ও শাইনিং প্লুসব্লু  নামে নতুন দুই প্রজ‍াতির প্রজাপতির সন্ধান পেয়েছে জীবন বিকাশ কার্যক্রম। মৌলভীবাজার জেলায় নতুন এ দুই প্রজাপতির সন্ধান পায় প্রতিষ্ঠানটি।



ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচারের (আইইউসিএন) রেড লিস্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৩০৫ প্রজাতির প্রজাপতি রয়েছে। এর মধ্যে ৫৭ ধরনের প্রজাপতি নিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডির দৃক গ্যালারিতে চলছে তিনদিনের প্রদর্শনী।

শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জীবন বিকাশ কার্যক্রমের আয়োজন এবং বন অধিদপ্তর, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ৪র্থ বারের মতো শুরু হয়েছে ‘ছবি দেখে শেখা, বাটারফ্লাইস অব বাংলাদেশ- ইনভেনটরি ফোরথ ফেজ’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী।

প্রকৃতিতে প্রজাপতির গুরুত্ব ও পতঙ্গটিকে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

জীবন বিকাশ কার্যক্রম তালিকার এই পর্বে- ১ বছর ৩ মাস সময় নিয়ে বাংলাদেশের ৮টি ভৌগোলিক অঞ্চলে (মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, যশোর, নড়াইল, বান্দরবান (সদর উপজেলা), ভোলা, কক্সবাজার ও নাটোর জেলার) কাজ করা হয়েছে।

প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসতিয়াক উদ্দিন আহমেদ, কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচার (আইইউসিএন), বাংলাদেশ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  অসিত রঞ্জন পাল, কনজারভেটর অব ফরেস্ট, বন অধিদপ্তর, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর মনোয়ার হোসেন, চেয়ারম্যান, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইনভেন্টরি দলের দলনেতা মির্জা শামীম আহসান হাবিব।

অনুষ্ঠানে বক্তারা জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে প্রজাপতির অসীম গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন। এছাড়াও সুন্দরবনে প্রজাপতি পার্ক, প্রজনন কেন্দ্র ও পর্যটকদের জন্য ইকোপার্ক তৈরির উপর গুরুত্বারোপ করেন।

জীবন বিকাশ কার্যক্রম বিগত পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের প্রজাপতির তালিকা তৈরির কাজটি সম্পন্ন করে আসছে। এ যাবতকাল তারা বাংলাদেশের ৩০টি জেলার তালিকা তৈরির কাজ সম্পন্ন করেছে, যাতে শনাক্ত হয়েছে ২৩৮টি প্রজাতি। অবশিষ্ট জেলাগুলো ক্রমান্বয়ে সম্পন্ন করার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।

তালিকার এই পর্বে প্রদর্শনী ও তথ্য সংগ্রহে অংশগ্রহণকারী সদস্যরা হলেন - মীর্জা শামীম আহসান হাবীব, মনোয়ার হোসেন, তানিয়া খান, মোহাম্মদ শাহতাবুল ইসলাম, সাইফ উদ্দিন সাইফ, অভ্র ভট্টাচার্য, কাজী ফরহাদ ইকবাল, মোহাম্মদ মনোয়ার মাহমুদ জুয়েল ও মোহাম্মদ ওয়াজেদুল হক খান।

প্রদর্শনীতে ব্যবহৃত প্রজাপতিগুলি শনাক্তকরণে কাজ করেছেন প্রফেসর মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন, চেয়ারম্যান, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, জাহানঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি।

মূলত এ আয়োজনটি জনসচেতনতা তৈরি এবং মতামত পাওয়ার লক্ষ্যে আয়োজন করা হয়েছে। এতে ছবির পাশাপাশি প্রতিটি প্রজাতির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও সংযুক্ত করা হয়েছে, যাতে এ বিষয়ে আগ্রহীরা প্রজাতিগুলো সম্পর্কে প্রকৃত ধারণা পেতে পারেন।
প্রদর্শনীটি রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত চলবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৬
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।