শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার): ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স’মিল থেকে মোট ৫৫৭ দশমিক ৬১ ঘনফুট কাঠ জব্দ করা হয়েছে। যার মূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা।
বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে দশটা থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ২৪টি স’মিল ও কমলগঞ্জ উপজেলার ১৮টি স’মিলে চলে অবৈধ কাঠ জব্দ করার এ অভিযান।
সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আর এস এম মুনিরুল ইসলাম শুরুতে কমলগঞ্জ উপজেলা ও পরে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় উপস্থিত থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন।
এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পূর্বিতা চাকমা, শ্রীমঙ্গলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিশ্বজিৎ পাল, কমলগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রফিকুল আলম, মৌলভীবাজারের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রাজেশ চাকমা, হবিগঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এজেডএম হাসানুর রহমান, মৌলভীবাজার রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা ফিরোজ আলম চৌধুরী, রাজকান্দি রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রায় চৌধুরী।
শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ থানার পুলিশ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
মৌলভীবাজারের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রাজেশ চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন স’মিল থেকে ১২১টি কাঠের টুকরায় ২৬৮ দশমিক ৯৭ ঘনফুট ও কমলগঞ্জে ২৪৮টি কাঠের টুকরায় ২৮৮ দশমিক ৬৪ ঘনফুট মালিকবিহীন ‘গ্রামীণ কাঠ’ জব্দ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, জব্দের তালিকায় আকাশমণি, চিকরাশি, মেনজিয়াম, গামার, সেগুন, ইউক্যালিপটাস, মেহগনি ইত্যাদি কাঠ রয়েছে।
সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আর এস এম মুনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশের ভিত্তিতে বিশেষ ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। আশার কথা হলো, দুই উপজেলার করাত কলগুলোতে গ্রামীণ কাঠ ছাড়া বনের কোনো কাঠ পাওয়া যায়নি। এখন আমাদের বনের অবস্থা খুবই ভালো রয়েছে’।
সিলেট বন বিভাগের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কোনো কাঠ ছিল না বলেই আমরা এ কাঠগুলোকে ‘গ্রামীণ কাঠ’ বলে উল্লেখ করেছি’।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৬
বিবিবি/এএসআর