শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার): ফল-ফসল শুধু যত্নেই নয়, অযত্ন, অবহেলায়ও ফলে! শ্রীমঙ্গলের পাহাড়িপ্রকৃতি আর মাটি এভাবেই তার অন্তরের নিজস্ব উর্বরতাকে সঞ্চিত করে রেখেছে চিরসবুজ বৃক্ষ আর লতাগুল্মের জন্য। যেখানে কোনোপ্রকার যত্ন না নিলেও দিব্বি ফল ধরে!
কোনো প্রকার যত্ন-আত্তি ছাড়াই শ্রীমঙ্গলের এক গৃহকর্তার গাছে ধরেছে কমলালেবু! একটি বা দু’টি নয়, অনেকগুলো।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শ্রীমঙ্গল শহর থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে বিষামণি এলাকায় গিয়ে দেখা যায় দশ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট একটি গাছে অনেকগুলো দুর্লভ কমলা ঝুলে রয়েছে। আগন্তুক শীতের আহ্বানে কমলালেবুগুলো যেন সাড়া দিয়েছে! আর কিছু দিন পরেই পাক ধরবে।
বাড়ির প্রবেশমুখের ডানদিকে অবস্থিত এ গাছটি ফলবান বৃক্ষে পরিণত হয়ে চারদিকে প্রাকৃতিক সার্থকতা ছড়িয়ে রেখেছে।
বাড়ির গৃহকর্তা সাবেক ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম লিটন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গাছটি আমি চার বছর আগে রোপণ করেছিলাম। সাড়ে তিন মাস হয়েছে কমলাগুলো ধরছে। আরও মাস দেড়েক লাগবে ফলটি পাকতে।
যত্ন-আত্তির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, গাছটিকে আমি কোনো প্রকার যত্নই করিনি। তারপরও এমনি এমনি ফলগুলো ধরেছে। আমার এক আত্মীয় গাছটি দিয়েছিলেন। গতবছর কম ফল এসেছিল। কমলাগুলো খেতে মিষ্টি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অজিত কুমার পাল বলেন, আমাদের শ্রীমঙ্গলের মাটি কমলা চাষের জন্য অত্যন্ত উপকারী। স্থানীয় কৃষকেরা আমাদের পরামর্শ মতো এ ফলটি চাষাচাদ করে চলেছেন।
ইউপি সদস্যের বাড়ির ওই কমলাগাছটি যত্ন-আত্তি করলে আরও বড় সাইজের এবং বেশি পরিমাণে ফলন হতো বলে জানান এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৬
বিবিবি/এএ