ঢাকা: রামপাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নিয়ে পরিবেশ সুরক্ষার দৃষ্টিকোণ থেকে যেসব উৎকণ্ঠা সমাজের নানা শ্রেণী থেকে আসছে সেগুলো বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্টে ‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ও পরিবেশ সুরক্ষা’ বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম শতভাগ নির্ভুল নয়, তাই কোনো উন্নয়ন উদ্যোগ যেন মানুষের জীবন-জীবিকা ও পরিবেশ সুরক্ষার বিপরীতে না হয় সেদিকে সর্বোচ্চ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। তবে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য কয়েক হাজার মানুষকে স্থানচ্যুত করা হয়েছে এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন।
পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী ও বিশেষজ্ঞদের তথ্যভিত্তিক ও গঠনমূলক সমালোচনা করার আহ্বান জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে জার্মানিতে প্রকৃতি ও পরিবেশের উল্লেখযোগ্য ক্ষতির নজির নেই। এমনকি বাংলাদেশে বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছেও সবুজ বনায়ন গড়ে উঠেছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার জনগণের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, তাই রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখছে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ইউনেস্কোসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় সংগঠন এ প্রকল্প নিয়ে পরিবেশের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে বলে তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করেছে। তাই সরকারের উচিত এসব মতামত বিবেচনায় নিয়ে পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক রোকেয়া পারভিন জুঁই, ড. এস এম মোর্শেদ ও মো. মাসুদুর রহমান। এতে সরকারি দল বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি ও বিরোধীদল প্রাইম ইউনিভার্সিটি অংশ নেয়।
প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী বিতার্কিকদের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৬
এএ