ঢাকা: জাতিসংঘ সদর দফতরে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের নেতৃত্বে ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০১৬’ পালিত হয়েছে। এতে ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন (ইউএনআইএসডিআর) ও ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি) অংশ নেয়।
এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল- ২০৩০ সালের মধ্যে দুর্যোগজনিত মৃত্যুর হার ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে সচেতনতা বাড়ানো। এ কার্যক্রম চলছে দুর্যোগকালীন ঝুঁকি কমানো সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি ‘সেন্ডাই ফ্রেমওয়ার্ক’র বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা-১ এর আওতায়।
দিবসটি উপলক্ষে- Live to Tell (বলার জন্য বাঁচা) শিরোনামে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘ মহাসচিবের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি রবার্ট গ্লাসার প্যানেল বৈঠক পরিচালনা করেন।
বাংলাদেশ, সুইজারল্যান্ড ও ফিলিপাইনের স্থায়ী প্রতিনিধি ছাড়াও জ্যামাইকার উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি, তরুণ সমাজকর্মী এবং UNDP-এর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্যানেল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবেলায় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত মৃত্যু সংখ্যা হ্রাসে বিশেষ সাফল্য প্রদর্শন করায় প্যানেলের সঞ্চালক রবার্ট গ্লেসার বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন-কে অনুরোধ জানান। এতে স্থায়ী প্রতিনিধি পরিসংখ্যানের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যগুলো তুলে ধরেন।
এ সময়ে দুর্যোগ ঝুঁকি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাসের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন বাস্তবসম্মত, টেকসই ও যুগোপযোগী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত।
তিনি আরো বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যথাযথ দিক নির্দেশনা এবং সরকার ও জনগণের দৃঢ় সংকল্পই বাংলাদেশকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় একটি রোল-মডেল হিসেবে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৬
জেডএস