ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

সূর্য গিলে খাবে বুধ-শুক্র, পৃথিবী হারাবে প্রাণিকুল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৬
সূর্য গিলে খাবে বুধ-শুক্র, পৃথিবী হারাবে প্রাণিকুল

সূর্য আকারে বেড়ে যাবে ১০০ গুন। আর পৃথিবীর যাবতীয় প্রাণিকুল পুড়ে ধ্বংস হয়ে যাবে। মহাকাশবিজ্ঞানীরা সেই আশঙ্কার কথাই জানিয়েছেন। তবে এখনই ভয় পেয়ে যাওয়ার কিছু নেই, এখন থেকে ৫০০ কোটি বছর পরেই ঘটবে এমন কিছু।

সূর্য আকারে বেড়ে যাবে ১০০ গুন। আর পৃথিবীর যাবতীয় প্রাণিকুল পুড়ে ধ্বংস হয়ে যাবে।

মহাকাশবিজ্ঞানীরা সেই আশঙ্কার কথাই জানিয়েছেন।

তবে এখনই ভয় পেয়ে যাওয়ার কিছু নেই, এখন থেকে ৫০০ কোটি বছর পরেই ঘটবে এমন কিছু।

বিজ্ঞানীরা দেখেছেন এই ৫০০ কোটি বছরে সূর্য তার বর্তমান আকারের চেয়ে ১০০ গুন বড় হয়ে যাবে। তাতে প্রথমেই গিলে খাবে বুধ আর শুক্র । আর পৃথিবী তার আকার নিয়ে টিকে থাকলেও তাতে থাকবে না কোনও প্রাণিরই অস্তিত্ব।

তবে তার পরের ২০০ কোটি বছরে সূর্য নিজেই ধীরে ধীরে উবে যাবে তীব্র নক্ষত্রমণ্ডলীয় বাতাসের তোড়ে। তাতে ক্ষয়ে ক্ষয়ে ক্ষুদ্র তারকায় পরিণত হবে আজকের সূর্য।

সৌরজগত নিয়ে এই ভবিষ্যত চিত্র বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন ২০৮ আলোকবর্ষ দূরের এক তারকা দেখে। যেটির চারপাশে এখন ঘুরপাক খাচ্ছে একটি মৃতপ্রায় গ্রহ।

এল-টু পাপিজ নামের এই তারকা দ্বয়ের ওপর রেডিও টেলিস্কোপ দিয়ে দৃষ্টি ফেলে আন্তর্জাতিক মহাকাশবিদরা এমনটা অনুধাবন করেছেন।
বুঝতে পেরেছেন এখন থেকে আরও ৫০০ কোটি বছর আগে এই তারকাটি ঠিক তেমনই তেজদীপ্ত ছিলো যেমনটা আজ সূর্য। কিন্তু আজ সেটি স্রেফ এক সাদা তারা। যার আসে পাশে কিছুই নেই একটি মৃতপ্রায় গ্রহ ছাড়া।

বেলজিয়ামের লুভেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিকস নামের একটি জার্নালে তাদের নতুন এই ফাইন্ডিংসের কথা জানিয়েছেন।

দলের অধ্যাপক লিন ডেসিন বলেন: আজ থেকে ৫০০ কোটি বছর পর সূর্য এক লাল দৈত্যাকায় তারকায় রূপ নেবে, যার আকার হবে এখনকার চেয়ে ১০০ গুন বড়। কিন্তু এরপর নক্ষত্রমণ্ডলীয় বাতাসের তীব্রতায় সূর্য থেকে ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাবে সকল তেজ। আর আজ থেকে ৭০০ কোটি বছর পর সূর্য একটি সাদা ক্ষুদ্রাকায় তারকায় পরিণত হবে।

তবে নিজের এই পরিণতি বরণের আগেই বুধ ও শুক্রকে গিলে খেয়ে ফেলবে সূর্য্য। পৃথিবীর ভাগ্যে ঠিক কি আছে তা বিজ্ঞানীরা এখনই নিশ্চিত নন, তবে মনে করছেন, এখানে প্রাণি বলে আর কোনও কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।
 
বাংলাদেশ সময় ০১৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৬
এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।