ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

৮৩০ কোটি মেট্রিক টন প্লাস্টিকে ছেয়ে আছে বিশ্ব

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭
৮৩০ কোটি মেট্রিক টন প্লাস্টিকে ছেয়ে আছে বিশ্ব ৮৩০ কোটি মেট্রিক টন প্লাস্টিকে ছেয়ে আছে বিশ্ব

ঢাকা: নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে হর-হামেশাই প্লাস্টিকের তৈরি জিনিস ব্যবহার করে আসছে গোটা বিশ্বের মানুষ। পানির বোতল, বাক্স, মগ, বালতি, বয়াম, ব্যাগ, চেয়ার, টেবিলসহ হাজার রকমের সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহার করা হয় প্লাস্টিক। তবে গত ৭০ বছরে বিশ্বে প্লাস্টিক দ্রব্য তৈরির পরিমাণটা জানা আছে কি?

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একদল গবেষকদের দেওয়া তথ্য থেকে অবাক করার মতো সংখ্যাটা জানা যায়।

গত ৭০ বছরে বিশ্বে তৈরি করা হয়েছে প্রায় ৮৩০ কোটি মেট্রিক টন প্লাস্টিক দ্রব্য।

এই পরিমাণ প্লাস্টিক প্রায় ২৫ হাজার এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং এর ওজনের সমান।

ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোলজিস্ট রোলান্ড গেয়ার বলেন, এই পরিমাণ প্লাস্টিক দিয়ে আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম রাষ্ট্র আর্জেন্টিনার সম পরিমাণ এলাকা ঢেকে ফেলা সম্ভব।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্লাস্টিক উৎপাদন ব্যাপক হারে বেড়ে যাচ্ছে। উল্লিখিত পরিমাণ প্লাস্টিকের প্রায় অর্ধেকই উৎপাদন করা হয় গত ১৩ বছরে।

গবেষকদের দেওয়া এমন তথ্য গোটা বিশ্বকে আতংকে ফেলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। কারণ, ফেলে দেয়া প্লাস্টিক দ্রব্য বছরের পর বছর একই ভাবে পরিবেশে বিচরণ করে। ব্যাপক পরিমাণের প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশ দূষণ ছাড়াও, মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জীবন বিপন্ন করে তুলতে সক্ষম। আর শুধু নয় শতাংশ তৈরি প্লাস্টিক রিসাইকেল করা হয়। এর ফলে প্রতি বছর প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ বিপজ্জনক হারে বাড়ছে।

২০১৫ সালের গবেষণায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর প্রায় ১৯০ কোটি পাউন্ড প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে ফেলা হচ্ছে। এই হার বছরপ্রতি দ্বিগুণ আকারে বাড়ছে।

পৃথিবীর জনসংখ্যা সমস্যা মোকাবেলায় স্বল্প মূল্য ও অধিক টেকসই প্লাস্টিক দ্রব্যের জনপ্রিয়তা বিশ্বব্যাপী আরও বেড়েই চলছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে এর উৎপাদন। এই বিপজ্জনক দ্রব্যটির হাত থেকে পরিবেশ ও জীবনকে বাঁচানোর বিষয়টি নিয়ে বিশ্বের প্রত্যেকটি মানুষকে আরও বেশি সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান গবেষকরা।

বাংলাদেশ সময়: ০৬২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭
এনএইচটি/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।