কর্তৃপক্ষের হিসেব মতে সোমবার (২১ মে) দুপুর ১২টায় ব্যারেজ পয়েন্টের পানির উচ্চতা ছিল ৫০.৭ সেন্টিমিটার। মঙ্গলবার (২২ মে) দুপুর ১২টায় পানির উচ্চতা দেখা যায় ৫১.১০ সেন্টিমিটার।
তিস্তায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে পানির প্রবাহ। সম্প্রতি খরস্রোতা রূপ ধারণ করেছে এ নদী। এখন সেখানে পানির প্রবাহ প্রায় ২৩০০ কিউসেক, জানায় কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, তিস্তার পানি যদি এই হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে তবে আশেপাশের প্রায় ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা পাবেন কৃষকরা। কৃষিকাজের জন্য পর্যাপ্ত পানি সরবরাহের অভাবে এ বছর রংপুর-দিনাজপুরের কৃষকরা এখনও জমি চাষ শুরু করতে পারেননি।
নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় ব্যারেজের কয়েকটি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে তিস্তার চরাঞ্চলে।
তিস্তার পানি হঠাৎ বাড়ায় এ অঞ্চলের কৃষকদের মুখে হাসি ফুটতে দেখা যায়। একইসঙ্গে ক্রমবর্ধমান পানির নিচে মিষ্টিকুমড়া, পেঁয়াজ ও রসুনের ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহ আগেও পানি প্রবাহের মাত্রা ছিল ৮০০ থেকে ৯০০ কিউসেক। সম্প্রতি তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩০০ কিউসেকে। যা পূর্বের তুলনায় প্রায় তিনগুণ।
গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ এবং ভারতীয় অংশের গজলডোবা বাঁধের গেটগুলো খুলে দেওয়ায় তিস্তার পানির এ হঠাৎ বৃদ্ধি বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৮
এনএইচটি