তীব্র গরমের পর রাজশাহীতে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র প্রভাবে শুরু হওয়া মাঝারি বর্ষণে জনমনে স্বস্তি ফিরেছে। তবে টানা বর্ষণে মহানগরীর নিচু এলাকা এরই মধ্যে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
এতে সকাল থেকে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষকে বাড়ি থেকে বেরিয়েই দুর্ভোগে পড়তে হয়। একটানা বৃষ্টিপাতে মহানগরীর প্রধান সড়কগুলোতে ড্রেনের পানি উপচে পড়েছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেনের দেওয়া তথ্য মতে, বুধবার দিনগত রাত ১টা ২ মিনিটে রাজশাহীতে বৃষ্টি শুরু হয়। ওই সময় থেকে বৃস্পতিবার (১১ অক্টোবর) ভোর ৬টা পর্যন্ত রাজশাহী মহানগরীতে ১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এছাড়া বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মহানগর এলাকায় ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে ১১ ঘণ্টায় রাজশাহীতে ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
জানতে চাইলে লতিফা হেলেন বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশ ও উড়িষ্যার মাঝামাঝি এলাকায় আছড়ে পড়েছে। এটি স্থলভাগ দিয়ে উপরের দিকে সরতে সরতে দুর্বল হয়ে গেছে। তবে এরকোনো বড় প্রভাব বাংলাদেশে না পড়লেও বৃষ্টি হচ্ছে। ‘তিতিলি’র প্রভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে ঢাকা আবহাওয়া থেকে পূর্বাভাস দিয়েছে।
এদিকে, উপকূলে থাকা ঘূর্ণিঝড় ‘তিতিলি’র প্রভাবে রাজশাহীতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কখনও মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে আকাশে মেঘ আছে। তাই আরও বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ভোর ৬টায় এবং দুপুর ১২টায় ১০০ শতাংশ ছিলো বলছে আবহাওয়া অফিস।
রাজশাহী জেলা ত্রাণ বিষয়ক কর্মকর্তা মো. আমিনুল হক জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘তিতিলি’র প্রভাবে রাজশাহী মহানগরীসহ বিভিন্নস্থানে হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ হলেও কোথাও কোনো দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে তারা সতর্ক রয়েছেন এবং খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৮
এসএস/ওএইচ/