‘ফার্ন’ হলো ঢেকিশাক গোষ্ঠীয় উদ্ভিদ। পাতাগুলো মাছের লেজের মতো দুইভাবে বিভক্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং উদ্ভিদ গবেষক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে বলেন, এর ইংরেজি নাম Fishtail Sword Fern এবং বৈজ্ঞানিক নাম Nephrolepis Falcata। পাতার পেছনে গোল গোল অংশগুলো হলো ‘সোরাই’। এগুলো ‘রিপ্রোডাক্টিভ অর্গান’ অর্থাৎ জননাঙ্গ।
তিনি আরও বলেন, সরাসরি সূর্যকিরণে নয়, হালকা সূর্যকিরণে এরা জন্মে। স্যাঁতস্যাতে পরিবেশে এরা ভালো জন্মে। যেমন- ছড়ার পাড়ে, পাহাড়-টিলার আশপাশে বা কোলঘেঁষে। এই ফার্নদের রোদ বেশি দরকার হয় না। ফার্ন বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে সাজসজ্জায়।
পাতার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ড. জসীম উদ্দিন আরও বলেন, এই ফার্নদের পাতা দুই ধরনের হয়। একটি ‘ভেজিটেটিভ লিফ’ অর্থাৎ সাধারণ পাতা বা দেহগঠনকারী পাতা। অপরটি ‘রি-প্রোডাক্টিক লিফ’ অর্থাৎ জননাঙ্গ তৈরিকারী পাতা। প্রজননের জন্য যে পাতা রয়েছে তার নিচে দিয়ে লাইন ধরে ‘সোরাই’ (জননাঙ্গ) হয়। এ ‘সোরাই’গুলো ভেতরে ‘স্পোর’ (রেণুকণিকা) হয়। এই ‘স্পোর’টা জার্মিনেট (অঙ্কুরোদগম) ‘হ্যাপলয়েড’ (এক প্রকারের বিশেষ উদ্ভিদ) হয়। তারপর হ্যাপলয়েড উদ্ভিদের ভেতর থেকে শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু হয়, যেটা মিলিত হয়ে ‘জাইগোট’ (শুক্রাণু ও ডিম্বাণু মিলিত ফসল) তৈরি হয়। এই ‘জাইগোট’টি জার্মিনেট (অঙ্কুরোদম) হয়ে ফার্ন উদ্ভিদ প্রকৃতিতে জন্মলাভ করে থাকে।
এ ফার্ন নাতিশীতোষ্ণ বনাঞ্চলের গাছ। এরা অপুষ্পক উদ্ভিদ, অর্থাৎ ফুল দেয় না- জানান ড. জসীম উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৮
বিবিবি/এইচএ/