ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

খুবিতে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৯
খুবিতে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার বক্তব্য রাখছেন মন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ এজেন্ডা ফর কালচারাল হেরিটেজ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারের উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।

উপ-মন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেছেন, বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতির পেছনে কোনো দেশ বেশি দায়ী, আবার কোনো দেশ বেশি ভুক্তভোগী। এটি নিয়ে বিশ্ব নেতারা অনেক কথাই বলছেন, কেউ মানছেন, আবার কেউ মানছেন না, আবার কেউ দায় নিচ্ছেন না। তবে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে কেবল বৈশ্বিক সহায়তার দিকে না তাকিয়ে থেকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি নিজেদের সক্ষমতা তৈরি করতে হবে।

পদ্মাসেতু তৈরিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের দৃঢ়চিত্ত ভূমিকা রেখেছেন, তেমনি আমাদের দেশের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিসহ বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলায় তার নেতৃত্বে নিজেদের সক্ষমতা অর্জন সম্ভব হবে বলে উপমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উপ-মন্ত্রী বলেন, শিল্প, কল-কারখানা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশে পরিবেশ দূষণের ঝুঁকি বাড়ছে। তবে শিল্প-কারখানায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, সুন্দরবন আমাদের মায়ের মতো আগলে রেখেছে, পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষা করছে।

তিনি উপকূলের জমিতে লবণ পানি আটকে রেখে চিংড়ি চাষের ফলে সবুজ গাছপালা মরে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করে বলেন শত শত খাল বাঁধ দিয়ে আটকে রাখার কারণে মিঠা পানি প্রবাহে বাঁধা পাচ্ছে। আমরা পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন না হলে মালদ্বীপের মতো অবস্থার শিকার হওয়ার আশংকা রয়েছে। পরিবেশ পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলা করে টিকে থাকতে হলে আমাদেরকে এখনই ঘুরে দাঁড়াতে হবে। নিজেদের পরিবেশকে নিজেরা ভালো রাখবো সেই প্রতিজ্ঞা নিতে হবে। সব ধরনের ক্ষেত্রে দেশকে ভালোবাসতে হবে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারের বিশেষ অতিথি হিসেবে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন ইউনেস্কোর কান্ট্রি ডিরেক্টর বিয়েট্রিস খলদুন, সহকারী ভারতীয় হাইকমিশনার রাজেশ কুমার রায়না এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. উত্তম কুমার মজুমদার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির আহ্বাবায়ক ও স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. খো. মাহফুজ-উদ-দারাইন।

এছাড়া সেমিনারে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটের ওয়াটার অ্যান্ড ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম, আইআইটির (খড়গপুর) প্রফেসর ড. সংঘমিত্র বসু, ভিএসপিবির সহযোগী ড. সুপতেন্দু বিশ্বাস, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলা, প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের খুলনার আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতা এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. খো. মাহফুজ-উদ-দারাইন। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক, গবেষক এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি এ সেমিনারে অংশ নেন। সেমিনার থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একটি সুপারিশ মালা সরকারের কাছে দেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৯
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।