ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

‘ফণী’র পর আসবে ‘বায়ু’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৫ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৯
‘ফণী’র পর আসবে ‘বায়ু’

ঢাকা: গভীর সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ থেকে জন্ম নেওয়া ‘ফণী’র আতঙ্কে কাপঁছে ভারত ও বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ। ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের উপকূলীয় ১৯ জেলা, পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় ১৫ জেলা ও বাংলাদেশের উপকূলীয় ১৯ জেলায় বিরাজ করছে ভীতিকর পরিবেশ। 

এই অবস্থায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ‘ফণী’র গতিবিধি বুঝে বাড়ানো হতে পারে সংকেতের মাত্রা।

শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি খুলনা ও সাতক্ষীরা উপকূল হয়ে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে।
 
যে ‘ফণী’র নাম দেশের মানুষের মুখে মুখে, তার নাম বাংলাদেশেরই দেওয়া। এর অর্থ সাপ বা ফণা তুলতে পারে এমন প্রাণী। ইংরেজিতে Fani লেখা হলেও  উচ্চারণ ‘ফণী’।  

আগে ঝড়গুলোর নাম হতো বিভিন্ন নম্বর দিয়ে। এতে ওই ঝড়ের নাম মনে রাখা দুঃসাধ্য হতো। ২০০৪ সাল থেকে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরকূলের দেশগুলো মিলে ঝড়ের নামকরণ শুরু করে। এই আট দেশ হলো- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও ওমান।

গত বছর ভারতের উড়িষ্যা ও অন্ধ্র প্রদেশে আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র নাম দিয়েছিল পাকিস্তান। তার আগে ২০১৭ সালে আঘাত হানা ‘মোরা’র নামকরণ হয়েছিল থাইল্যান্ডের প্রস্তাবে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আগামী মে মাসেই বঙ্গোপসাগরে জন্ম নিতে পারে আরও একটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়। ভারতের প্রস্তাব অনুযায়ী এটির নাম হবে ‘বায়ু’। এরপর আসবে হিক্কা, কায়ার, মাহা, বুলবুল, পবন ও আম্ফান। এই নামগুলো ওই আট দেশের মধ্যে কোনো না কোনো দেশেরই দেওয়া।  

এই নাম ফুরিয়ে গেলে আবার বৈঠকে বসে নতুন নামকরণ শুরু হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৯
আরএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad